বাজারে পেঁয়াজ পর্যাপ্ত, বলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে বলে দাবি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, পণ্যটির দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কোনো সংগত কারণ নেই।

আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। গত শনিবার ঢাকার বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকায় উঠেছিল। তবে সোমবার তা কমে আবার ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় নেমেছে। যদিও এর আগে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি ছিল খুচরা বাজারে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ (মুড়িকাটা) বাজারে এসেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এখনো প্রতিদিন আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসছে। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারককে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিটি বাজারে পর্যাপ্ত দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ মজুত রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে বাজার অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজারে পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মূল্য তদারকির জন্য ব্যাপক ভাবে বাজার অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন দেশব্যাপী এ অভিযান জোরদার করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবসায়ীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি মূল্য, ক্রয়মূল্যের চালান/রসিদ সংরক্ষণে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দোকানে বিক্রয় মূল্যের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, অন্যায় ভাবে কোনো ব্যবসায়ীকে হয়রানি করা হবে না। কারসাজি করে অন্যায় ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করলে, মূল্য বৃদ্ধি করলে বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সরকার ঢাকাসহ দেশব্যাপী প্রায় ২০০ ট্রাকে করে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া অনেক আমদানি কারক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন জেলায় ন্যায্য মূল্যে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে বলেও উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।