২০১৯ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) আজ মঙ্গলবার দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ছবি: প্রথম আলো
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) আজ মঙ্গলবার দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ছবি: প্রথম আলো

সদ্য বিদায়ী ২০১৯ সালে আগের বছরের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে আরও বেশি, ৭১ দশমিক ১১ শতাংশ। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালে ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। বৃদ্ধির এই হার আগের বছরের চেয়ে বেশি।

আজ মঙ্গলবার কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জীবনযাত্রার ব্যয়ের এই হিসাব প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর ১৫টি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন সেবার মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী ও ১৪টি সেবার তথ্য পর্যালোচনা করে ক্যাব এই হিসাব করেছে। এই হিসাব শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয়বহির্ভূত।

২০১৮ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পায় ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। অন্যান্য মসলার মধ্যে এলাচের দাম বেড়েছে প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে ৩২ দশমিক ৪৭ থেকে ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। দেশি আদার দাম বেড়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। দেশে উৎপাদিত রসুনের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।

২০১৯ সালে গড়ে শাকসবজির দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। তরল দুধে বেড়েছে ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ ছাড়া দেশি থান কাপড়, বিদেশি কাপড়, খেজুর গুড়, নারিকেল তেল, ঘরভাড়া প্রভৃতি জিনিসের দামও বেড়েছে।

এ ছাড়া কমেছে ভোজ্যতেল, লবণ, চিনি, সাবান, পান সুপারি ইত্যাদি পণ্যের দাম কমেছে।