উৎপাদনে গেল পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট

পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

নবনির্মিত পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) গতকাল রোববার উৎপাদনে গেছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে সম্প্রতি তৈরি হওয়া পায়রা-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভির ১৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন।

নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) এক শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর ১২টার দিকে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি সফলভাবে চালু করেছি।’

সমান মালিকানায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যৌথভাবে নির্মাণ করছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনডব্লিউপিজিসিএল এবং চীনের সরকারি মালিকানাধীন চাইনা ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি)। এই দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামে পৃথক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুসারে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।

প্রাথমিকভাবে ইউনিটটি ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে এবং উৎপাদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তা ৬৬০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে বলে এনডব্লিউপিজিসিএল কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এর আগে, নতুন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ সঞ্চালন লাইন চালু করা হয়। নির্মাণ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে চালু থাকা পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি উৎপাদনে যাওয়ার জন্য নতুন সঞ্চালন লাইন চালুর অপেক্ষায় ছিল।

কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি করা কয়লার মাধ্যমে পরিচালিত এটিই প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ জন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি বড় জাহাজে করে কয়লার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়।

‘এখন আমাদের কাছে আমদানি করা কয়লার ৪৫ দিনের মজুত আছে। তাই আশা করি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ধারাবাহিকভাবে চলবে,’ উল্লেখ করে এনডব্লিউপিজিসিএল কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজনীয় কয়লা ইন্দোনেশিয়া থেকে আনতে একটি আমদানি চুক্তি রয়েছে।

সঞ্চালন ব্যবস্থা প্রস্তুত হয়ে গেলে কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট আগামী জুনের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আশা করছে বিসিপিসিএল।

পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট থেকে মোট বিদ্যুৎ আসবে ২৬৪০ মেগাওয়াট।