২০১৯ সালে ওয়ালটনের এসি বিক্রিতে ২১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

২০১৯ সালে এসি বিক্রিতে বিশেষ অবদান রাখায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের পুরস্কৃত করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত
২০১৯ সালে এসি বিক্রিতে বিশেষ অবদান রাখায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের পুরস্কৃত করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত

সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উচ্চমান, কম বিদ্যুৎ খরচ, সাশ্রয়ী দাম, সহজ কিস্তিসুবিধা, সহজলভ্য ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়ালটন ও মার্সেল ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার বা এসি। ফলে এসি বিক্রিতে গত বছর এই দুটি দেশীয় ব্র্যান্ড ২১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের বাজারে পেয়েছে শীর্ষস্থান। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন গ্রুপ এ বছর আড়াই লাখ ইউনিট এসি বিক্রির টার্গেট নিয়েছে। আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ১৮৭ শতাংশ বেশি।

২০১৯ সালে এসি বিক্রির সাফল্য উদ্‌যাপন উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে দিনব্যাপী ‘মেগা অ্যাচিভমেন্ট সেলিব্রেশন ও বেস্ট এসি ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন, ব্যাপক বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী এসি তুলে দিতে ওয়ালটন এসি গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করছেন।

২০১৯ সালে এসি বিক্রিতে বিশেষ অবদান রাখায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের পুরস্কৃত করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত
২০১৯ সালে এসি বিক্রিতে বিশেষ অবদান রাখায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের পুরস্কৃত করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ওই অনুষ্ঠানে ২০২০ সালে আড়াই লাখ লাখ এসি বিক্রির টার্গেট ঘোষণা করেন এস এম মাহবুবুল আলম। তিনি নতুন এই টার্গেটের নাম দেন ‘লক্ষ্য মোদের ২.৫ লক্ষ’।

গত বছর ওয়ালটন এসির গুণগতমান বাড়িয়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। ফলে গত বছর এসি বিক্রিতে ২১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে ওয়ালটন।

২০২০ সালে ২ দশমিক ৫ লাখ এসি বিক্রির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লক্ষ্য মোদের ২.৫ লক্ষ’। ছবি: সংগৃহীত
২০২০ সালে ২ দশমিক ৫ লাখ এসি বিক্রির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লক্ষ্য মোদের ২.৫ লক্ষ’। ছবি: সংগৃহীত

এস এম মাহবুবুল আরও বলেন, ‘চলতি বছর আমরা আড়াই লাখ এসি বিক্রির টার্গেট নিয়েছি। সেই লক্ষ্য পূরণে প্রতি মাসেই বাজারে ছাড়া হবে নতুন মডেলের ব্যাপক বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী ইনভার্টার, আয়োনাইজার ও আইওটি বেজড স্মার্ট এসি। পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো স্থাপনার জন্য চার ও পাঁচ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসিও ব্যাপকভাবে বাজারজাত করবে ওয়ালটন।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, পরিচালক মঞ্জুরুল আলম অভি, রাইসা সিগমা হিমা, মাহবুব আলম মৃদুল, রিফা তাসনিয়া স্বর্ণাসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ওয়ালটন গ্রুপের এসি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এসির বাজার ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ইউনিটের। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লাখ ২০ হাজার ইউনিটে। চলতি বছর দেশের এসি বাজার হবে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ ইউনিটের। এ বাজারের ৫০ শতাংশের বেশি হিস্যা নেওয়ার লক্ষ্য ওয়ালটন গ্রুপের। তিনি জানান, ২২ শতাংশ শেয়ার নিয়ে গত বছরই দেশের এসি বাজারে শীর্ষে এসেছে ওয়ালটন।