বেকার তরুণদের জন্য নতুন আশা

এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুধু আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নয়, এখন কর্মসংস্থানেও ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি এজেন্ট আউটলেটে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন দু-তিনজন তরুণ-তরুণী। এর ফলে সারা দেশে চালু হওয়া সাড়ে ৯ হাজার আউটলেটে কমপক্ষে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এসব আউটলেটে ব্যাংকগুলো নিজেরা যেমন কর্মকর্তা নিয়োগ করছে, একইভাবে উদ্যোক্তারাও নিজেরা জনবল নিয়োগ দিচ্ছেন।

আবার যত এজেন্ট নিয়োগ হয়েছে, ঠিক সমানসংখ্যক উদ্যোক্তাও গড়ে উঠছে। প্রত্যেক এজেন্টই এখন একজন উদ্যোক্তা। যিনি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা সহজেই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। যেসব এজেন্ট যত ব্যবসা করতে পারছে, তারা তত বেশি জনবল নিয়োগ দিচ্ছে। ব্যাংকগুলোই এসব কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ফলে ব্যাংকিং সেবা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

যোগাযোগ করা হলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান প্রথম আলোকে বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনা করছেন স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। ফলে দ্রুত এ সেবা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে চাকরির সুযোগও পাচ্ছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা।

এজেন্টরা যা পাচ্ছেন

ব্যাংক ভেদে এজেন্টদের সুযোগ-সুবিধাও ভিন্ন ভিন্ন। তবে ব্যাংক সেবা দিয়ে যে কমিশন পায়, তার বেশির ভাগই পান এজেন্টরা। হিসাব খোলা, এটিএম কার্ড প্রদান, চেক বই প্রদানসহ সব সেবা থেকেই এজেন্টরা কমিশন ও মাশুল পেয়ে থাকেন। এক এজেন্ট থেকে অন্য এজেন্টে ও ব্যাংক শাখায় টাকা জমা হলে ১০০ টাকা পর্যন্ত মাশুল কাটা হয়, তার পুরোটাই পান এজেন্ট। টাকা উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর, পরিষেবা বিল সংগ্রহ, এটিএম কার্ডের মাশুল থেকে কমিশন পান এজেন্টরা। এ ছাড়া ঋণে ব্যাংক যে সুদ পায়, তা থেকেও কমিশন পান গ্রাহক। অনেক ব্যাংক প্রবাসী আয় বিতরণেও গ্রাহককে প্রণোদনা দিয়ে থাকে।

গত ডিসেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শহীদুল ইসলাম বলেন, এজেন্টরা সেবা দেওয়ার মাধ্যমে নিজেরা ভালো সুবিধা পাচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি সেবায় এজেন্টরা কমিশন ও মাশুলের অংশীদার হচ্ছেন। এতে ব্যাংক ও এজেন্ট উভয়ই সুবিধা পাচ্ছে।