এআইবিএলের নতুন লোগো উন্মোচন ও রি-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম উদ্বোধন

২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে নতুন লোগো উন্মোচন ও রি-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড (এআইবিএল)। রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার নতুন লোগো উন্মোচন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সামাদ বলেন, ‘আল-আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক রজত জয়ন্তী উপলক্ষে রি-ব্র্যান্ডিং করছে। একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের রি-ব্র্যান্ডিং কোনো সহজ কাজ নয়। যুগ যুগ ধরে যে আস্থা ও নির্ভরতার ভিত্তিতে এআইবিএল জনমানুষের প্রিয় ব্যাংকে পরিণত হয়েছে, সেটিকে কোনোভাবে আঘাত না করে ও প্রতিষ্ঠাকালীন অনুভূতিকে সুউচ্চ রেখে পরিকল্পনা করতে হয়েছে। এ ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সে সময়ের প্রেক্ষিতে আমরা অবশ্যই আধুনিক ছিলাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পারিপার্শ্বিকতা পাল্টেছে। পরিবর্তনের হাওয়ায় ব্যাংকিং এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ব্যাংকে না গিয়েও অর্থের লেনদেন এখন দৈনন্দিন ব্যাপার। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, সত্যিকারের এক জীবনধারার নাম।’

আবদুস সামাদ আরও বলেন, ‘ইসলাম মানে আধুনিকতা, ইসলাম মানে সার্বজনীনতা- এই বার্তাটিই আমাদের ব্র্যান্ডিংয়ের নতুন ধারার মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে আমরা সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছি। গ্রাহক-শুভানুধ্যায়ীদের আস্থা ও নির্ভরতার হাত ধরেই ক্ষুদ্র ব্যাংক থেকে দুই যুগের পরিক্রমায় এআইবিএল দেশের একটি শীর্ষ আধুনিক ব্যাংকে পরিণত হয়েছে।’

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফরমান আর চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘শরীয়াহর সাথে সবসময়- এই স্লোগান নিয়ে আজ থেকে ব্যাংকের নতুন যাত্রা শুরু হলো। এক দিনে এআইবিএলের ১৮২টি শাখা ও ১৬৯টি এটিএম বুথের ইনডোর-আউটডোর রি-ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রি-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম। এই রি-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম আমাদের ব্যাংকের কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি, করপোরেট সুশাসন ও ব্যবসায়িক নৈতিকতার প্রসার ঘটাবে। পাশাপাশি নতুন লোগো ও ট্যাগলাইন আমাদের অভিনবত্বের পরিচায়ক হয়ে উঠবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালাম, হাফেজ মো. এনায়েত উল্যা, মো. লিয়াকত আলী চৌধুরী, মো. আমির উদ্দিন, নাজমুল আহসান, আবদুল মালেক মোল্লা, মো. হারুন-অর-রশীদ খান, মো. আনোয়ার হোসেন, বদিউর রহমান, খন্দকার মেসবাহ্ উদ্দিন আহমেদ, আহামেদুল হক, আবু নাসের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, নিয়াজ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, খালিদ রহিম এবং এম. কামালউদ্দিন চৌধুরী।