চীনে কারখানা চালুর অপেক্ষায় বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো

চীনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। ছবি: রয়টার্স
চীনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। ছবি: রয়টার্স

চান্দ্রবর্ষের ছুটি শেষে চীনে কারখানা চালুর অপেক্ষায় রয়েছে বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

আগামী মঙ্গলবার চান্দ্রবর্ষের ছুটি শেষে চীনে কারখানা খোলার কথা রয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে চীনে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। চীনে ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আট শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এমন অবস্থায় হুমকিতে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে চান্দ্রবর্ষের ছুটি ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। চীনে বৈশ্বিক বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।

মঙ্গলবার বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর কারখানার কার্যক্রম শুরু না হলে তাদের জন্য বছরের প্রথম প্রান্তিকে উৎপাদন লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে।

বিশ্বের উৎপাদনক্ষেত্র হিসেবে খ্যাত চীন। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চীনের। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে চীনের অর্থনীতির পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিও হুমকিতে পড়েছে।

চীনে আইফোনের সংযোজনকারী কারখানা রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে এই কারখানা থেকে সরবরাহ কমে যেতে পারে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আইফোন সরবরাহ চার মিলিয়ন কমবে।

এ ছাড়া একই প্রান্তিকে চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য সরবরাহ কমবে ৩২ শতাংশ।

সার্বিকভাবে ২০২০ সালে চীনা স্মার্টফোন সরবরাহ কমবে ৫ শতাংশ।

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি হুন্দাই, জার্মানির ভক্সওয়াগন ও বিএমডব্লিউ চীনে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

চীনা অর্থনীতিবিদ আইরিস পাং বলেন, ‘প্রতিটি কারখানাই একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। কারখানা বন্ধ থাকার ক্ষতি কেবল নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির নয়, বরং তা পুরো উত্পাদনকেই প্রভাবিত করছে। তা ছাড়া বর্ধিত ছুটি কাটিয়ে ঠিক কতজন শ্রমিক কাজে ফিরে আসবেন, তাও অনিশ্চিত।’