সমবায় ব্যাংকের অনাদায়ি ঋণ ১৯৩ কোটি টাকা

Parlament
Parlament

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বর্তমানে সমবায় ব্যাংকের অনাদায়ি ঋণের পরিমাণ ১৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

স্বপন ভট্টাচার্য জানান, সমবায় ব্যাংকের অনাদায়ি ঋণের মধ্যে কৃষি ঋণ ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা, প্রকল্প ঋণ ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা, প্রকল্প ঋণ (মহিলা) ৫৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা, কনজুমারস ঋণ ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, ব্যক্তিগত ঋণ ৫৫ কোটি ৯৪ লাখ ২ হাজার টাকা, স্বর্ণ বন্ধকী ঋণ ৮১ কোটি ৮৯ লাখ ২২ হাজার টাকা।

জাতীয় পার্টির সাংসদ মসিউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ৫ বছরের নিবন্ধিত প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ও প্রকৃত বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরেন। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৯৩৬ দশমিক ৯৩৫ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে ১ হাজার ৫৫১ দশমিক ২৮ মিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে ৫৬২ দশমিক ৩০৩ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে ২ হাজার ২৩৫ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালে ১১ হাজার ৩২১ দশমিক শূন্য ৫৪ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে ২ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার। ২০১৭ সালে ১০ হাজার ৪৬৯ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে ২ হাজার ১৫১ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার এবং ২০১৮ সালে ৫ হাজার ১৬৬ দশমিক ৮২২ মিলিয়ন প্রস্তাবের বিপরীতে ৩ হাজার ৬১৩ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এই তুলনামূলক চিত্র থেকে এটা বলা সমীচীন হবে না যে নিবন্ধনের তুলনায় প্রকৃত বিনিয়োগ অনেক কম।
সরকারি দলের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরীতে গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উভয় সিটি করপোরেশনকে অটোমেশনের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পানির চাহিদার পরিমাণ দৈনিক ২২৫ থেকে ২৪৫ কোটি লিটার। এর বিপরীতে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহ করার সক্ষমতা দৈনিক ২৫৫ কোটি লিটার। সুতরাং চাহিদা অনুযায়ী পানির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।

সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, দেশের আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার ১ হাজার ২৯০টি ইউনিয়নে ২ লাখের মতো নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হচ্ছে।

সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, দেশে এখন ৪ হাজার ৫৬৯টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৬০টি নতুন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে।