ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য আলোচনা যুক্তরাজ্যের জন্য 'মারাত্মক যুদ্ধ'

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ লু দ্রিয়ঁ। ছবি: এএফপি
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ লু দ্রিয়ঁ। ছবি: এএফপি

১ ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন আসছে সব বাণিজ্য আলোচনায়। তবে ব্রেক্সিট–পরবর্তী এই বাণিজ্য আলোচনা যে খুব নমনীয় হবে না, যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছে ফ্রান্স। এই আলোচনা যে একটি ‘মারাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নেবে, তা যুক্তরাজ্যকে মাথায় রাখতে হবে—এমন সতর্কবাণী দিয়েছে ফ্রান্স।

গতকাল রোববার ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ লু দ্রিয়ঁ জার্মানির মিউনিখে এক সুরক্ষা সম্মেলনে যোগ দিয়ে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, পরের মাস থেকে যে আলোচনা শুরু হবে, ব্রাসেলস সেখানে নিজের স্বার্থই দেখবে। তিনি মনে করেন, উভয় পক্ষ আলোচনার ক্ষেত্রে নিজের সুবিধার কথা ভেবে একে অপরকে তুলোধুনা করবে।

খবর বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ওই সম্মেলনে জ্যঁ ইভ লু দ্রিয়ঁ বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করার যে লক্ষ্য যুক্তরাজ্যের রয়েছে, তা অর্জন করা কঠিন হবে। কারণ, দুই পক্ষেরই একাধিক ইস্যুতে মতভেদ আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাণিজ্যসংক্রান্ত সমস্যা এবং ভবিষ্যত সম্পর্কের জন্য যে প্রক্রিয়া আমরা শুরু করতে যাচ্ছি, আমরা একে অপরকে ছিন্ন করতে যাচ্ছি। তবে এটি আলোচনার অংশ, প্রত্যেকে নিজের স্বার্থকে রক্ষা করবে।’

তবে এতটা শক্ত অবস্থান নিচ্ছে না যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে যে তারা সার্বভৌম সমতা রক্ষায় বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি চুক্তি চায়।

দুই সপ্তাহ আগে ব্রেক্সিট কার্যকরের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্য তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি বা এসব কেনার জন্য নতুন নিয়ম ঠিক করতে বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারবে। ইইউর সদস্য থাকার সময়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনা করতে পারত না। তাই ব্রেক্সিট–সমর্থকেরা বলছেন, নিজের বাণিজ্যনীতি ঠিক করার স্বাধীনতা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে জোরদার করবে।