রায়ের পর গ্রামীণফোনের শেয়ারের দামে উত্থান

আগামী সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ১০০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে গ্রামীণফোনের। আপিল বিভাগ এই অর্থ পরিশোধ করতে বলেছেন। একই সঙ্গে আগামী সোমবার গ্রামীণ ফোনের রিভিউ আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেন।

এই রায়ের পর পুঁজিবাজারে দর বেড়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত টেলিকম খাতের এ কোম্পানির শেয়ারের দাম গতকালের চেয়ে ১০ টাকা বেড়েছে। বেলা ১টার দিকে শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছে ২৯৬ টাকা ৫০ পয়সায়। গতকাল বুধবার দিন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম সাড়ে ২১ টাকা বা ৮ শতাংশের বেশি বেড়ে ২৮৬ টাকায় উঠে। তবে আজ সকালে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমতে দেখা যায়।

নিয়ম অনুযায়ী, গতকাল ঢাকার বাজারে গ্রামীণফোনের সর্বোচ্চ ২৩ টাকা ১০ পয়সা বা পৌনে ৯ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ ছিল। একপর্যায়ে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। তাতে এটির শেয়ার বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। বাজারসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির পাওনা দাবিসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে-এ খবরে বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দামের ইতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা যায়।

পরে গতকাল গ্রামীণফোন ১০০ কোটি টাকা নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) যায়। কিন্তু বিটিআরসি সেই টাকা নেয়নি। বিটিআরসি জানায়, আদালতের নির্দেশনার বাইরে তারা কিছু করবে না। এর প্রভাবে আজ সকাল থেকে শেয়ারটির দর কিছুটা কমতে থাকে। তবে আজ রায়ের পরও উত্থানে আছে শেয়ারটির দর।

এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২০০০ কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে পরিশোধ করতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগের এই আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে গ্রামীণ ফোন আবেদন করে। আজ তা শুনানির জন্য ওঠে।