চীনের সঙ্গে ব্যবসা সচল রাখতে সহায়তা চায় এফবিসিসিআই

চীনের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য ঋণসহায়তা ও ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআই বলেছে, চীনের করোনাভাইরাসের কারণে এক মাসের মতো ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ আমদানি সরবরাহ বিঘ্ন হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি তুলে ধরতে আজ শনিবার এফবিসিসিআই সংবাদ সম্মেলন করেছে। মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এ ছাড়া ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া একটি জাতীয় সরবরাহকৌশল প্রণয়নের সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এফবিসিসিআই আপাতত কোনো আর্থিক সহায়তা চায় না। ব্যবসায়ীরা চান, চীনের সঙ্গে যে আমদানি-রপ্তানি হয়, তা যেন স্বাভাবিকভাবে চলে।
এ বিষয়ে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘চীনের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়েছেন যে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের রপ্তানিবাণিজ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। আমরা চাই, আমাদের বন্দরে যেন কোনো চীনা পণ্য আটকে দেওয়া কিংবা খালাসে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি না হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যথাযথ কাগজপত্র সরবরাহ করলে ওই ব্যবসায়ীদের এলসির বিপরীতে নেওয়া ঋণ যেন খেলাপ না করা হয়। কিংবা বাড়তি মাশুল, সুদের ওপর জরিমানা করা না হয়, সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। কেননা, এই বিলম্বের পেছনে ওই ব্যবসায়ীর দোষ নয়, দুর্যোগ দায়ী।

চীন থেকে আমদানির জন্য যেসব ঋণপত্র খোলা হয়েছে, কিন্তু শিপমেন্টে (জাহাজীকরণ) সময় লাগছে, এমন ব্যবসায়ীদের অন্য কোনো দেশ থেকে আমদানির সুযোগ থাকলে ওই সব ব্যবসায়ীদের এলসি সীমার বাইরে স্বল্পমেয়াদি ঋণ–সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই।