করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ববাজারে কমছে জ্বালানি তেলের দাম

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চীনের বাইরেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। আজ সোমবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ।

দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও ইরানে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে, তেলের দামের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারেও দরপতন দেখা যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৬৯ ডলার, শতাংশের দিক দিয়ে যা প্রায় ২ দশমিক ৯। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম এখন ৫৬ দশমিক ৮১ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৪০ ডলার বা ২ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দাম এখন ৫১ দশমিক ৯৮ ডলার।

বাজার বিশ্লেষকেরা এই পরিস্থিতিকে সাময়িক অর্থনৈতিক প্রভাব হিসেবে মনে করছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর হস্তক্ষেপে হয়তো এর উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা।

তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমার লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না; বরং প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত ৭০০ মানুষ। ইতালিতে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দেড় শ ছাড়িয়েছে।

ইরানের কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ভাইরাসে দেশটির ৪৩ জন আক্রান্ত, মারা গেছেন আটজন। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, তুরস্ক ও আফগানিস্তান ভ্রমণ ও অভিবাসনে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক বৈশ্বিক কোম্পানি এখন আশঙ্কা করছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে তারা বিক্রি ও মুনাফার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না। অনেকে আবার আরও সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষতির আর্থিক হিসাব করে ফেলছে। পরিস্থিতি এখন খুবই অনিশ্চিত। তবে অনেক আর্থিক প্রক্ষেপণেই বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। অন্য কোনো দেশে এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে চীনা অর্থনীতি যদি দ্রুত পূর্ণগতিতে ফিরতে না পারে, তাহলে বিনিয়োগকারীরা অরক্ষিত হয়ে পড়তে পারেন। এসব আশঙ্কারই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তেলের বাজারে।