জরুরি ভিত্তিতে সুদহার কমাল ফেড

এক দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে নতুন সুদহার ১ থেকে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে ফেডারেল রিজার্ভ। ছবি: রয়টার্স
এক দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে নতুন সুদহার ১ থেকে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে ফেডারেল রিজার্ভ। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতির ক্ষতি কাটাতে জরুরি ভিত্তিতে সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। গতকাল মঙ্গলবার এক দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে নতুন সুদহার করা হয়েছে ১ থেকে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

২০০৮ সালের মন্দার পর এই প্রথম পূর্বঘোষণা ছাড়াই সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত দিল ফেডারেল রিজার্ভ। ওই সময় মন্দার পর ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে সুদহার কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল তারা। তবে এবার এক লাফে ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানো হলো, যা সর্বোচ্চ। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হতে পারে—এমন আশঙ্কায় গতকাল সকালে জি-৭–ভুক্ত দেশের অর্থমন্ত্রীরা অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে একমত হন। এরপরই ফেডারেল রিজার্ভের এমন সিদ্ধান্ত এল।

এক বিবৃতিতে ফেডারেল রিজার্ভ জানায়, অর্থনীতির সর্বোচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে, সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা ও আন্তর্জাতিকভাবে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সালে বিশ্বমন্দার প্রেক্ষাপটে এ রকম অনির্ধারিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফেড।

তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়,এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়াও কেন্দ্রীয় সুদহার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। যদিও বারবারই বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক ক্ষতি কতটা হবে, তা বুঝতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

এর আগে গত সোমবার আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) জানায়, বছরের চলতি প্রান্তিকে বৈশ্বিক অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য হারে সংকুচিত হতে পারে, যা এক দশক আগের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার পর প্রথমবারের মতো অর্থনীতিতে বড় আকারের নিম্নমুখী প্রবণতা।

বিশেষ এক প্রতিবেদনে ওইসিডি বলছে, বছরের বাকি সময়টা অর্থনীতির চাকা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে এবং আগামী বছর নাগাদ ফের চাঙা হবে। ওইসিডি ২০২০ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির অনুমিত পূর্বাভাস আধা শতাংশ কমিয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। আর ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেশি দিন দীর্ঘায়িত হলে ও আক্রান্ত দেশ, অঞ্চলের সংখ্যা বাড়লে প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত নেমে আসতে পারে বলে জানায় তারা।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত সপ্তাহেও সারা বিশ্বের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন ঘটে। সেই প্রভাব কাটাতে এবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেড।