চুক্তি ভেস্তে যাওয়ায় তেলের দামে ব্যাপক পতন

চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর ক্রুড তেলের দাম কমিয়েছে সৌদি আরামকো। ছবি: রয়টার্স
চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর ক্রুড তেলের দাম কমিয়েছে সৌদি আরামকো। ছবি: রয়টার্স

তেলের দাম বাড়ানোর জন্য উৎপাদন কমাতে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল ওপেক ও রাশিয়া। তবে গত শুক্রবার সেই ঐকমত্য ভেস্তে যায়। এতে তেলের দাম কমে যায়। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

শুক্রবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি প্রায় ১০ শতাংশ কমে। আর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রতি ব্যারেল তেলের দাম দাঁড়ায় ৪৫ ডলার।

চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর ক্রুড তেলের দাম কমিয়েছে সৌদি আরামকো। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত এই কোম্পানি তেলের দাম তাদের মূল গ্রেড থেকে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে।

চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর কোমর বেঁধে তেলের দামযুদ্ধে নামে সৌদি আরামকো। সংস্থাটি এশিয়ায় এপ্রিলের চালানের জন্য ক্রুড তেলের দাম কমিয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৪ থেকে ৬ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কমিয়েছে ৭ ডলার।

মধ্যপ্রাচ্যের তেল বিশেষজ্ঞ ইমান নাসেরি বলেন, সত্যিকার অর্থেই সৌদি আরব এবার তেলের দামযুদ্ধে নামল।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। এই পরিস্থিতিতে তেলের দাম বাড়াতে পুরোনো পন্থা নেয় অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)।

জ্বালানি তেলের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং করণীয় নির্ধারণে ৫ মার্চ থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠকে বসে ওপেক ও নন-ওপেক দেশগুলো। এতে সিদ্ধান্ত হয়, তেলের দাম বাড়াতে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন দিনে ১৫ লাখ ব্যারেল কমাবে তারা, যা বিশ্বের মোট সরবরাহের প্রায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

ওপেক আশা করছিল, রাশিয়া প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাতে সম্মত হবে। তবে এতে সম্মতি জানায়নি ওপেকের মিত্র জোট ওপেক প্লাসের নেতৃত্বে থাকা রাশিয়া। ফলে নতুন চুক্তি হওয়ার বিষয়টি ভেস্তে যায়। এর প্রভাবে শুক্রবার ব্যাপক দরপতন হয় তেলের দামের। ২০০৮ সালের পর একক দিনে সর্বোচ্চ দাম কমে তেলের। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেলের দাম কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ।