বেনাপোল দিয়ে দুই দিনে এল ১৩১ টন পেঁয়াজ

পেঁয়াজ। ফাইল ছবি
পেঁয়াজ। ফাইল ছবি

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ২ দিনে ১৩১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। যশোরের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা কমেছে।

ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় দীর্ঘ পাঁচ মাস পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি আবার শুরু হয়েছে। বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুরের পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। প্রথম দিনে খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজ ও কুমিল্লার মাহির অ্যান্ড মাহিন এন্টারপ্রাইজ ৯১ মেট্রিক টন এবং দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তুষি এন্টারপ্রাইজ ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে। পেঁয়াজের ঘোষিত মূল্য ছিল প্রতি কেজি ১৬ টাকা ১৪ পয়সা। কিন্তু প্রতি কেজিতে শুল্কায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) হয়েছে ২৫ টাকা ৪৯ পয়সা।

হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি জনি ইসলাম বলেন, বেনাপোলসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারতের নাসিক শহর থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পেঁয়াজের উৎপাদনে সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম রাতারাতি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০-২৫০ টাকায় উঠে যায়।

যশোর সদর উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামের পেঁয়াজচাষি স্মৃতি বিশ্বাস বলেন, ‘এ বছর ১০ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। ৩০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছি। ৩০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করেছি। পেঁয়াজ উৎপাদনের ভরা মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশীয় কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।’