কেরুর স্যানিটাইজার বাজারে আসবে সোমবার

কেরুর স্যানিটাইজার বাজারে আসবে সোমবার। ছবি: সংগৃহীত
কেরুর স্যানিটাইজার বাজারে আসবে সোমবার। ছবি: সংগৃহীত

চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীন সংস্থা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে। আগামী সোমবার থেকে তারা এটি পরীক্ষামূলকভাবে বাজারে ছাড়বে। কয়েক দিন পর থেকে পুরোদমে তা বাজারে পাওয়া যাবে। তারা বিক্রিও করবে কম দামে।

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদ আলী আনছারী প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৩৮ সাল থেকে কেরু উন্নতমানের স্পিরিট তৈরি করে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল উপাদান স্পিরিট। এর সঙ্গে ডিস্টিলড্ ওয়াটার, রং ও ঘ্রাণ মেশালেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ ভালো পরিমাণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছি। দরকার ছিল বোতলের। সেটা তৈরি হয়ে কাল (রোববার) হাতে আসবে। সোমবার থেকে আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে ছাড়ব।’

জাহেদ আলী আনছারী বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব রসায়নবিদ রয়েছেন। তারাই এটি তৈরি করেছেন। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ জীবাণু এতে মরে যায়।’ তিনি আরও জানান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে ছাড়তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যেহেতু কেরুর স্পিরিট বিক্রির লাইসেন্স আছে, তাই তারা এটি বিক্রি করতে পারবে।

কেরুর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ স্যানিটাইজার কিনছে। এখন এটা এখন প্রয়োজন। মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরকে বলেছি, কোনো নথিগত বিষয় থাকলে আমরা সেটা পড়ে করব।’

কেরুর বিপুল পরিমাণ স্যানিটাইজার তৈরির সক্ষমতা আছে বলে উল্লেখ করে জাহেদ আলী আনছারী আরও বলেন, ‘বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সরবরাহ করতে পারব।’

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৬টি বিপণন কেন্দ্র, শিল্প মন্ত্রণালয় ও চিনি শিল্প করপোরেশনের সামনে শুরুতে এই স্যানিটাইজার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তারা সরবরাহ করবে। প্রতি ১০০ মিলিলিটারের দাম হবে ৬০ টাকা।

জাহেদ আলী আনছারী বলেন, ‘বাজারে ৫০ মিলিলিটারের দাম ৫০ টাকা। শিল্পসচিব স্যার আমাদের বেশি লাভ করতে নিষেধ করেছেন। তাই আমরা কম দামে বিক্রি করব।’

উল্লেখ্য, কেরুর কারখানা চুয়াডাঙ্গার দর্শনায়। এটি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি সরকারি সংস্থা চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের এই কারখানাটি স্পিরিট উৎপাদন করে।