নতুন বিধানে লেনদেন চলছে শেয়ারবাজারে, কমছে সূচক

শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

নতুন বিধানে দ্বিতীয় দিনের মতো লেনদেন চলছে শেয়ারবাজারে। আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএইএক্স সূচক প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৩ হাজার ৯৬২ পয়েন্টে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ১৪৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ বেলা ১১টা নাগাদ লেনদেন হয়েছে মাত্র ১৮ কোটি টাকার। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ১৬৭টির, অপরিবর্তিত আছে ১১৩টির দর। অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৮ লাখ টাকার। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির, একটিরও দর কমেছে, অপরিবর্তিত আছে ৪৪টির দর।

শেয়ারবাজারের ভয়াবহ ধস ঠেকাতে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সরকারের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে বাজারে লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামতে পারবে না। পাশাপাশি সূচকেরও নির্ধারিত একটি সীমার নিচে নামার পথ বন্ধ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই তা কার্যকর করার কথা বলা হয়। তবে নতুন বিধানটি কার্যকর করতে গিয়ে গতকাল দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। পরে নতুন বিধানে গত কার্যদিবস মাত্র আধা ঘণ্টা লেনদেন হয়। ওই আধা ঘণ্টায় ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৩৭১ পয়েন্ট বা সোয়া ১০ শতাংশের বেশি। অবস্থান করে ৩ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে।

বিএসইসির নতুন বিধানটি কার্যকর করতে গিয়ে গত কাযদিবস দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই কিছু কোম্পানির শেয়ারের দামের হিসাবে গরমিল দেখা দেয়। ফলে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, অনেক শেয়ারের দামের যথাযথ হিসাব মেলানো যায়নি। সিএসই জানিয়েছে, লেনদেনে যেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে বিএসইসির নির্দেশনায় ব্যত্যয় ঘটবে, সেসব কোম্পানির লেনদেন বাতিল করা হবে। আর ডিএসইতে কারিগরি কারণে অনেক শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দিতে গিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তাতে হিসাবের গরমিল দেখা যায় দিন শেষে। ফলে অনেক বিচ্যুতি নিয়েই সপ্তাহের শেষ দিনের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে নতুন বিধান অনুযায়ী।

হিসাবের গরমিল
পাঁচ কার্যদিবসের গড়মূল্যের ভিত্তিতে গতকালের প্রারম্ভিক মূল্য নির্ধারিত হওয়ায় বাজারের সিংহভাগ কোম্পানিরই দাম বেড়ে যায় আগের দিনের তুলনায়। কারণ, পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে গত চার দিনই একটানা বড় ধরনের পতন হয় বাজারে। কিন্তু গত কার্যদিবস দিন শেষে ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ৪৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫২টির। দিন শেষে ৪৯ কোম্পানির দাম কমার তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলেও দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল মাত্র ৬টি। যদিও নতুন বিধানের ফলে অধিকাংশ কোম্পানির দাম কমারই সুযোগ ছিল না। এমন হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতির কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেওয়ার বিধান করা হলেও দুই স্টক এক্সচেঞ্জের স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থায় সর্বনিম্ন সীমা শূন্য করে দেওয়ার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে বিএসইসির নির্দেশনা পেয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এ সীমা আরোপ করা হয়। এতে কিছু কিছু শেয়ারের দামের ক্ষেত্রে বিচ্যুতি ঘটেছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর একাধিক কর্মকর্তা জানান।