ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চাপ বেড়েছে

টাকা। প্রতীকী ছবি
টাকা। প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে টাকা তোলার চাপ বেড়ে গেছে। এর বিপরীতে কমে গেছে টাকা জমার পরিমাণ। এ জন্য বাজারে তারল্য জোগান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংকগুলোর হাতে থাকা অতিরিক্ত ট্রেজারি বিল ও বন্ড কিনে টাকা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রাতে এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের তারল্য ব্যবস্থাপনায় যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ‘সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত সরকারি সিকিউরিটিজ থাকলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বাজারমূল্যে বিক্রি করতে পারবে। বিক্রির প্রয়োজন হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এসএলআর সংরক্ষণের পর ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বিল ও বন্ড ব্যাংকগুলোর কাছে রয়েছে। এর বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুদ পেয়ে থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নগদ টাকার চাপ বেড়ে যাবে, তাই চাইলেই এসব বিল বন্ড কিনে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকে যাতে কোনোভাবেই টাকার সংকট না হয়, এ জন্যই এ উদ্যোগ। সাধারণত সংকটময় পরিস্থিতিতে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে যায়।

ব্যাংক শাখায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার নির্দেশ

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিটি ব্যাংক শাখায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নগদ টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের সব সময় মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। আজ এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, অতিমাত্রায় সংক্রামক করোনাভাইরাস বিস্তারে নগদ অর্থের লেনদেনকে ইতিমধ্যে একাধিক সংস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই নগদ অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের সব সময় মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। অর্থ নাড়াচাড়ার পর অবশ্যই হাত জীবাণুমক্ত করতে হবে। এর আগে অফিসের অন্য কোনো স্থানে হাত রাখা যাবে না। নগদ লেনদেনের উদ্দেশ্যে যাঁরা শাখায় আসবেন, তাঁদের স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ জন্য সব শাখায় প্রয়োজনীয় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহের জন্য ব্যাংক এমডিদের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সব শাখায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দিয়েছি। গ্রাহকদের জন্য স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার ফলে সব ব্যাংক তা পালন করবে।’