চীনের অর্থনীতি ৩ মাসের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াবে: পিপলস ব্যাংক

চীনের উহানে মাছের বাজারের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: এএফপি
চীনের উহানে মাছের বাজারের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের বিস্তার, দেশব্যাপী লকডাউন, পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন—তিন মাস ধরে চীনের সঙ্গে এসব কিছুই যেন বেশি মানানসই ছিল। বিশ্বের কারখানাখ্যাত চীন মনে হয় সেই দুর্দিন পেছনে ফেলতে চলেছে। দ্রুতই দেশটির প্রবৃদ্ধির চাকা ঘুরতে শুরু করবে বলে মনে করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী তিন মাসের মধ্যেই চোখে পড়ার মতো অর্থনৈতিক উন্নতি আসছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্তারা। খবর ব্লুমবার্গের।

বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পিপলস ব্যাংক অব চায়নার ডেপুটি গভর্নর চেন উলু অর্থনীতির সব সূচকের উন্নতি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। চেন উলু বলেন, চলতি মাসের ব্যাংকের লেনদেন, জমা করার প্রবণতা এবং ঋণ কার্যক্রমের তথ্য বলছে, অর্থনীতি উন্নতির পথে আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের সরবরাহব্যবস্থা ঠিক রাখতেও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কারণে চীনে পণ্যমূল্য বেড়ে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়েছে। সরবরাহব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আগে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠিক হতে আরও কিছুদিন লাগবে বলে মনে করেন পিপলস ব্যাংকের শীর্ষ কর্তা উলু চেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে শুরু হলে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় অর্ধে মূল্যস্ফীতি কমতে থাকবে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য–যুদ্ধ চলছিল চীনের। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগেই চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১৯৭৬ সালের পর চলতি বছরে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশে।

একই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন চীনের সিকিউরিটি রেগুলেটরির ভাইস চেয়ারম্যান লি চাও। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরও চীনের শেয়ারবাজার বিশ্বের অন্যান্য বাজারের চেয়ে স্থিতিশীল আছে। প্রাদুর্ভাবের প্রভাব কাটাতে সক্ষম হয়েছে। চীনা মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর ৭–এর আশপাশে থাকবে বলে তিনি জানান।