এশিয়ার শেয়ারবাজারে আবার ধস

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে এশিয়ার পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন অব্যাহত আছে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বড় বড় শেয়ারবাজারে আজ সোমবার লেনদেনের শুরু থেকে একটানা পতন হচ্ছে। এ ছাড়া আজ যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারও দরপতন দেখবে—এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।

একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বড় অর্থনীতির দেশগুলো অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কমেছে।

তীব্র মন্দার প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে বড় দেশগুলো আর কী করতে পারে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেমন গতকাল ২ লাখ কোটি ডলারের পুনরুদ্ধার প্যাকেজ পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন সিনেটরেরা। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এটি বড় ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেই কেবল উদার হবে। এসবের প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে।

আজ হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক লেনদেনের একপর্যায়ে কমেছে সাড়ে ৫ শতাংশ। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে ৩ শতাংশ। নিউজিল্যান্ডের পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক কমেছে ১০ শতাংশের বেশি। অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স ২০০ কমেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। জাপানের নিকেই সূচক কমেছে ৭ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার পূর্বাভাস বলছে, বিভিন্ন নীতিনির্ধারণের কারণে দরপতন হয়তো ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হবে। হবে দরপতন ঠেকানো যাবে না।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ অনেক দেশে। এতে ব্যাপকভাবে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে। দুই মাস ধরেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছে। আজও এটি সাড়ে ৪ শতাংশ দর হারিয়েছে।