ছুটিতে আমদানি-রপ্তানির কী হবে?

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। প্রথম আলো ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। প্রথম আলো ফাইল ছবি

টানা ১০ দিনের ছুটির সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। তবে এ সময় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হলেও সব পণ্য ছাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জরুরি চিকিৎসা ও সেবাসামগ্রী শুল্কায়ন করে খালাস করা যাবে। এ সময়ে রপ্তানি কার্যক্রম সচল থাকবে। কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে সমুদ্রপথে পণ্যের ৯৩ শতাংশ আমদানি–রপ্তানিই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।

সরকার ছুটি ঘোষণার পর আজ মঙ্গলবার রাজস্ব বোর্ড থেকে ন্যূনতমসংখ্যক জনবল দ্বারা নিত্যপণ্য ও জরুরি চিকিৎসা ও সেবাপণ্য শুল্কায়ন ও খালাসের নির্দেশনা দেয়। এই নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ দল গঠন করেছে, যারা এ সময়ে কাজ করবে। তবে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করতে হবে। এলাকা ছেড়ে যাওয়া যাবে না।

অন্যদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালন কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে দাপ্তরিক কার্যক্রম সীমিতভাবে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো–নামানো, খালাস প্রদানের মতো কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। বন্দর পর্ষদের সদস্য মো. জাফর আলম প্রথম আলোকে বলেন, বন্দরের পর্ষদের একজন সদস্য পালাক্রমে অফিস করবেন। পরিচালন কার্যক্রম পরিচালনাকারী পরিবহন, নৌ বিভাগের মতো কয়েকটি বিভাগের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কর্মস্থলে থাকবেন, যাতে জাহাজ আগমন ও পণ্য খালাসের মতো কার্যক্রম ব্যাহত না হয়।

বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, ছুটির সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম সীমিত করে আনায় বন্দরে পণ্যের জট তৈরি হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, খাদ্যপণ্য, চিকিৎসাসহ জরুরি পণ্যের শুল্কায়ন ও খালাস কার্যক্রম সচল থাকবে। যদি আমদানি পণ্যের জট তৈরি হলে তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তারা যেহেতু বাসায় থাকবেন, সে জন্য এ সময়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। রপ্তানি–সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সচল থাকবে।

বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, আমদানি পণ্য খালাসের জন্য পণ্যভেদে অনেকগুলো সরকারি–বেসরকারি সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বন্দর ও কাস্টমস খোলা থাকলেও এসব সংস্থার কার্যক্রম খোলা না থাকলে আমদানি পণ্য খালাসও ব্যাহত হতে পারে। এই ধরনের একটি সংস্থা হলো শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটির সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দিনে অন্তত দুই–তিন ঘণ্টার জন্য খোলা রাখা হবে। কাল এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র, পরমাণু শক্তি কমিশনসহ অনেকগুলো সংস্থা খোলা রাখার ওপর নির্ভর করছে পণ্য খালাস হবে কি না।