ক্রয়াদেশ না থাকলে কারখানা বন্ধের নির্দেশনা বিকেএমইএর

বিকেএমইএ
বিকেএমইএ

ক্রয়াদেশ না থাকলে বর্তমান পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ। সংগঠনটি বলেছে, জনসমাগম যত কম হবে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তত কমবে। তাই অপ্রয়োজনে কারখানায় শ্রমিক এনে হাজিরা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, কোনো প্রতিষ্ঠানের একজন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে পুরো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আশপাশের কারখানাসহ পুরো এলাকা লকডাউন করা হতে পারে। এতে বিপদ আরও বাড়বে।

বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান আজ বুধবার দুপুরে এক বিবৃতিতে সংগঠনের সদস্যের প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি কাল বৃহস্পতিবার ও পরশু শুক্রবার কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন।

কারখানার মালিকদের উদ্দেশে সেলিম ওসমান বলেন, ‘পোশাক কারখানা বন্ধের বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি। সে ক্ষেত্রে আপনারা প্রয়োজন মনে করলে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে কারখানা খোলা রেখে পরিচালনা করতে পারেন। আমাদের বুঝতে হবে, করোনা মহামারি রূপ নিয়েছে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ কারফিউ ও লকডাউনের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের প্রস্তুতকৃত পণ্যটি রপ্তানিযোগ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণকারী খাত, সেহেতু আমরা এই মুহূর্তে পুরো খাত বন্ধ করব কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। পরিস্থিতি যেভাবে নাজুক হচ্ছে, তাতে যেকোনো মুহূর্তে বাংলাদেশেও কারফিউ বা লকডাউন জারি করা হতে পারে।’

বিবৃতিতে কারখানার মালিকদের সীমিত আকারে কারখানা পরিচালনা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিকেএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার জন্য প্রয়োজনে নিটিং, ডায়িং বন্ধ করে সীমিত আকারে কারখানা পরিচালনা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে করোনামুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হবে।’

করোনার সংকট কাটাতে ক্ষতির তথ্য ও পরিসংখ্যান সরকারের কাছে উপস্থাপন করে সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেলিম ওসমান। সে জন্য তিনি সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতের তথ্যের পাশাপাশি মার্চ মাসের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার মজুরি ও বেতন এবং পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের হিসাব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকেএমইএর কার্যালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।

সেলিম ওসমান বলেন, ‘২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আপনার প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট কাজ না থাকলে আপনি এই ১০ দিন কারখানা বন্ধ রাখতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা সময়মতো প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’