বিনা মূল্যে দিতে দুই ওষুধে ভ্যাট ছাড়ের সুপারিশ

বিনা মূল্যে হাসপাতালকে ওষুধ, পরিষ্কারক, জীবাণুনাশক, মাস্ক ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ছাড়ের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। সংস্থাটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ব্যবসায় পর্যায়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি ট্যারিফ কমিশন থেকে আজ বুধবার এনবিআরকে পাঠানো হয়। জানা যায়, ডেলটা ফার্মা দুটি ওষুধ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালকে বিনা মূল্যে দিতে চায়। এ জন্য তারা ভ্যাট মওকুফের আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদন যাচাই-বাছাই করে ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে একটি চিঠি এনবিআরকে দেয়।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক চিঠিতে দেখা যায়, ডেলটা ফার্মা দুটি ওষুধের ১০ হাজার প্যাকেট করে মোট ১০ হাজার প্যাকেট দিতে আগ্রহী। এর মোট বিক্রয়মূল্য ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ টাকা। এতে মোট ভ্যাট আসবে ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৪০ টাকা।

চিঠিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আরও বলেছে, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে উন্নত বিশ্বে ওষুধ দুটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

ডেলটা ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘গত সোমবার আমরা ওষুধগুলো ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে দিয়েছি। এসব ওষুধ যেহেতু আমরা বিক্রি করিনি, সেহেতু ভ্যাট মওকুফ করলে ভালো হয়।’ ওষুধগুলোর স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশে চিকিৎসকেরা নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করে দেখছেন। এর মধ্যে এ দুটি ওষুধের কার্যকারিতা দেখা গেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এখনো এ ধরনের ওষুধের স্বীকৃতি দেয়নি। আমরা শুনেছি, স্বীকৃতি দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।’

অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা ঝুঁকিপূর্ণ। সংগত কারণেই ওষুধ দুটির নাম প্রকাশ করা হলো না।