করোনার ছুটিতে ব্যাংকে সীমিত লেনদেন

করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে আজ চালু হয়েছে ব্যাংকিং লেনদেন। তবে লেনদেন হয়েছে খুবই কম। বাজারকেন্দ্রিক শাখাগুলোতে কিছু লেনদেন হলেও অন্য শাখায় কর্মকর্তারা অলস সময় কাটিয়েছেন। রাজধানীর শাখাগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, এটিএম থেকে যখন-তখন টাকা তোলার সুযোগ ও সিআরএমে জমার ব্যবস্থা থাকায় গ্রাহকেরা এখন আর ব্যাংক শাখার জন্য অপেক্ষা করছে না। ভাইরাসের মধ্যে এভাবে ব্যাংক খোলা রাখাটা অযৌক্তিক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে আজ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু শাখা খোলা রাখবে ব্যাংকগুলো। এসব শাখায় সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত চলে টাকা জমা উত্তোলন করা যাবে। আজ সারা দেশে ২ হাজারের বেশি ব্যাংক শাখা খোলা রেখেছিল ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক শাখা সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় শাখা। আজ এই শাখায় মাত্র ৯৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৩৩ জন গ্রাহক টাকা জমা দিয়েছেন, ৩৩ জন উত্তোলন করেছেন ও ২৭ জন অন্য সেবা নিয়েছেন। স্বাভাবিক সময়ে কয়েক হাজার গ্রাহক সেবা নেয়। অথচ শাখাটি খোলা রাখতে সব মিলিয়ে ৯৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অন্য এলাকার ব্যাংক শাখাগুলোর একই অবস্থা।

ব্যাংকাররা বলছেন, যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় গ্রাহকেরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোদাচ্ছের হাসান প্রথম আলোকে বলেন, নির্দেশনা মেনে আমরা ব্যাংক খোলা রেখেছি। তবে গ্রাহক তেমন নেই।
এদিকে অগ্রণী ব্যাংক আজ সারা দেশে ৪০০ টি শাখা খোলা রাখে। শাখা ভেদে লেনদেন হয়েছে অন্য সময়ের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ।

জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, যশোর এলাকায় শাখাগুলোতে ভালো লেনদেন হয়েছে। তবে ঢাকায় কম।

বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকেও লেনদেন বেশি হয়নি। ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাজার কেন্দ্রিক এলাকাতে লেনদেন হয়েছে। অন্য এলাকায় কম ।

এদিকে রাজধানীর শাখাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাংক কর্মকর্তারা হাতে গ্লাভস ও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় টাকা লেনদেন করছেন। গ্রাহক ও ব্যাংকার সবাই বেশ সতর্ক। শাখাগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। হাত ধোঁয়ারও ব্যবস্থা করেছে কেউ কেউ।

ব্যাংকাররা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যাংকগুলো এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার সীমা বাড়িয়েছে। আবার অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে বিনা মাশুলে টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছে। এ কারণে শাখায় চাপ হবে না। তবে ব্যবসা বাণিজ্য চালু হলে চাপ বাড়বে।