বৈশাখী বিক্রি বন্ধ, ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

করোনার কারণে চলতি বছর বৈশাখী কেনাকাটা করতে ফ্যাশন হাউসে ক্রেতাদের এমন ভিড় দেখা যাবে না। প্রথম আলো ফাইল ছবি।
করোনার কারণে চলতি বছর বৈশাখী কেনাকাটা করতে ফ্যাশন হাউসে ক্রেতাদের এমন ভিড় দেখা যাবে না। প্রথম আলো ফাইল ছবি।

করোনার কারণে সবকিছুই যেন থমকে গেছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদিন আগে পয়লা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সরকার ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে সারা দেশের দোকানপাট ও বিপণিবিতান (শপিং মল) ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈশাখকেন্দ্রিক বেচাবিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পয়লা বৈশাখে দেশীয় পোশাক কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছিল। ফলে করোনার কারণে বৈশাখে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে দেশি পোশাকশিল্প। বৈশাখী বিক্রি বন্ধ হওয়ায় দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউস মালিকদের সংগঠন ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফ্যাশন উদ্যোগ)।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. শাহীন আহম্মেদ। তিনি বলেন, করোনার কারণে মার্চের শুরুর দিকে বেচাবিক্রি কমে যায়। তাতে ইতিমধ্যে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। আর মার্চের শেষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার ফলে বৈশাখী বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেশীয় পোশাকশিল্প প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

বৈশাখী বিক্রি না হওয়ায় দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর কর্মীদের আগামী তিন মাসের বেতন-ভাতা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। একই সঙ্গে প্রান্তিক কারুশিল্পী ও বয়নশিল্পীদের কাজের মজুরি বাবদ বকেয়া প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধেও হিমশিম খাবে প্রতিষ্ঠানগুলো, এমন দাবি করেছেন ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ফ্যাশন উদ্যোগ) সভাপতি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশীয় পোশাকশিল্পে যুক্ত প্রান্তিক কারুশিল্পী ও বয়নশিল্পীদের কাজের মজুরি এবং ফ্যাশনহাউসের কর্মীদের বেতন পরিশোধে সরকারের কাছে বিনা সুদে ১ বছরের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দাবি করেছে ফ্যাশন উদ্যোগ। সংগঠনটি বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে ঈদের ব্যবসাও হারাবে দেশীয় পোশাকশিল্প। ফলে সরকারের যথাযথ উদ্যোগই শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।