পাঁচ হাজার কোটি টাকা তহবিলের নীতিমালা জারি

>
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ মার্চ ঘোষণা দেওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের নিদের্শনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। বাংলাদেশ ব্যাংক সেই নিদের্শনার আলোকে আজ নীতিমালা জারি করে।

রপ্তানিমুখী কারখানার শ্রমিকদের মজুরি দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিলের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বৃহস্পতিবার একটি নীতিমালা জারি করেছে। শর্ত অনুযায়ী, কমপক্ষে ৮০ শতাংশ রপ্তানি হয়, এমন কারখানা সচল হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিনা সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ পাবে তারা।

যেসব কারখানা গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দিয়েছে, তারাই বিবেচিত হবে সচল প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ঋণ পেতে পাশাপাশি ওই তিন মাসের রপ্তানি কার্যক্রমও থাকতে হবে তাদের।

বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে তার মধ্যে যেকোনো একটি ব্যাংক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তিন মাসের বেতন বই পরীক্ষা–নিরীক্ষা করবে। এর পরই ঋণের জন্য ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন কারখানার মালিকেরা। তবে তিন মাসে যা বেতন দেওয়া হয়েছে, গড়ে তার চেয়ে বেশি ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে না। ঋণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো সুদ নেবে না, তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল নিতে পারবে।

নীতিমালায় বলা হয়, ব্যাংকগুলো ঋণের জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে থেকে ঋণ নেবে। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানকে দেবে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে ঋণের জন্য আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন দফায় তিন মাসের বেতনের টাকা দেবে। এটা শুরু হবে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে, চলবে জুন পর্যন্ত।

নীতিমালা অনুযায়ী, বেতনের টাকা সরাসরি শ্রমিকের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেবে ব্যাংক। যাঁদের হিসাব নেই, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ভিত্তিতে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব (এমএফএস) খোলার উদ্যোগ নিতে হবে। শ্রমিকেরা চাইলে বিনা মাশুলের ব্যাংক হিসাবও খুলতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই শ্রমিকদের এনআইডি পরীক্ষা করতে হবে।

আরও বলা হয়েছে, এ ঋণের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংককে ২ বছরের মধ্যে শোধ করবে ব্যাংকগুলো। এ জন্য প্রথম ৬ মাস ঋণ পরিশোধে বিরতি পাবে, পরের ১৮ মাসে ১৮ কিস্তিতে টাকা শোধ দিতে হবে।