পড়ে আছে ৩৫০০ কোটি টাকার সুতা ও কাপড়

করোনা পরিস্থিতিতে কাপড় ও সুতা বিক্রি না হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছে মিলগুলো। ছবি: সংগৃহীত
করোনা পরিস্থিতিতে কাপড় ও সুতা বিক্রি না হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছে মিলগুলো। ছবি: সংগৃহীত

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ ছুটি বেড়েছে। বাতিল হয়েছে পয়লা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান। দোকান, মার্কেট সব বন্ধ। দেড় হাজার কোটি টাকার বৈশাখী ব্যবসা হারিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশীয় বস্ত্রকলগুলোয় কাজ নেই। অলস পড়ে আছে মিলে মজুত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার সুতা ও কাপড়।

আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাপড় ও সুতা বিক্রি না থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছে মিলগুলো। সে জন্য কাঁচামাল আমদানি করতে পারছে না তারা। তাতে আগামী দুই ঈদের ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কর্মীদের বেতন-ভাতা, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যায় পড়বেন মিলের মালিকেরা।

সংকট উত্তরণে আগামী জুন পর্যন্ত সুতা ও কাপড়ের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার, ছয় মাসের জন্য মেয়াদি ঋণের সুদ মওকুফ, সুদ, ভ্যাট ও সারচার্জ ছাড়া আগামী ছয় মাসের গ্যাস-বিদ্যুতের বিল ১২ মাসের সমান কিস্তিতে পরিশোধ, বস্ত্রকলে ব্যবহৃত রং ও রাসায়নিক আমদানিতে জুন পর্যন্ত শুল্ক ও ছাড় দেওয়ার দাবি করেছে বিটিএমএ।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিটিএমএ সভাপতি বলেন, এ শিল্পের ওপর ১৫ লাখ মানুষ নির্ভরশীল। বস্ত্রকলগুলোর কারণে সুতা ও কাপড়ের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হয় না। বৈশাখের হালখাতায় বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি নতুন ব্যবসার সৃষ্টি হয়। তবে করোনার কারণে উৎসবটি হচ্ছে না।

বিটিএমএ জানায়, সংগঠনটির সদস্য ৪৫০টি স্পিনিং মিলের মধ্যে প্রায় ২৫০টি ও ৮৫০টি উইভিং মিলের মধ্যে প্রায় ৫০০টি দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে কাজ করে। এসব মিলের সহায়ক হিসেবে কাজ করে ২০০ টির মতো ডায়িং ও ফিনিশিং মিল।