হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পর আসছে কেরুর জৈব সার

চুয়াডাঙ্গায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কারখানা। ছবি: শাহ আলম
চুয়াডাঙ্গায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কারখানা। ছবি: শাহ আলম

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের পর কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে বাজারে নিয়ে আসছে কেরুজ জৈব সার ‘সোনার দানা’।

স্বল্পমূল্যে কৃষকদের নিকট উন্নতমানের কেরুজ জৈব সার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘সোনার দানা’ ব্যাপক হারে উৎপাদন ও বাণিজ্যিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ শুরু করে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি।

জৈব সার তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ২০১২ সালে কারখানা স্থাপিত হয়। চিনি কারখানার আখের বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি হয়। এ জৈব সার ভেজালমুক্ত ও উন্নত মানসম্পন্ন। বর্তমানে জৈব সার কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৭ হাজার মেট্রিক টন। জৈব সার ‘সোনার দানা’ ১ ও ৫০ কেজির প্যাকেটে বাজারজাত করা হচ্ছে। দেশের সর্বত্র এ সার পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় বলেছে, জৈব সার ‘সোনার দানা’ ব্যবহারের ফলে কৃষিজমিতে ফসলভেদে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম প্রয়োজন হয়। ফসলের রোগবালাই কম হয়।

কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ আলী আনছারী বলেন, বর্তমানে বাজারের জৈব সারের অধিকাংশ নিম্নমানের ও ভেজাল। কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তাঁরা কৃষিজমিতে জৈব সার ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন এবং তাঁদের মধ্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, জৈব সার ‘সোনার দানা’ ব্যবহারের ফলে ফসলের কাণ্ড, পাতা ও ফল পরিপুষ্ট হয়। এ সার ফলের মিষ্টতা বৃদ্ধি করে, রং বাড়ায় এবং গুদামজাত শস্য সংরক্ষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

চিনি ও ডিস্টিলারি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।