নগদ অর্থের সরবরাহ বাড়ানোর তাগিদ ব্যবসায়ীদের

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চলমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য জোর সুপারিশ করেছেন কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে মানুষ সামাজিক দূরত্ব না মানায় উদ্বেগ জানান তাঁরা।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ (এফআইসিসিআই) কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এই উদ্বেগ জানান। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে যে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তাতে সমর্থন জানানোর ঘোষণা দেন তাঁরা। এমসিসিআইয়ের সভাপতি নিহাদ কবিরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, এমসিসিআইয়ের সভাপতি নিহাদ কবির, সহসভাপতি আনিস এ খান, সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি রূপালী চৌধুরী, বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ প্রমুখ অংশ নেন।

ব্যবসায়ীরা নেতারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলাই সরকারের প্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারলে বাংলাদেশ যথাসময়েই অর্থনীতি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাবে। তাঁরা আরও বলেন, অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে সরকার ইতিমধ্যে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সেগুলো দ্রুত ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে জোর দেন ব্যবসায়ী নেতারা।

সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা দেশের ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য জোর সুপারিশ করেন। তাঁরা আরও বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে দেশে এক বিশেষ অবস্থা বিরাজ করছে, এ সম্পর্কে আগে কোনো ধারণাই ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সরকার থেকে ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে প্রায়শই বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন বা সার্কুলার জারির প্রয়োজন হচ্ছে। প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে খুঁটিনাটি বিষয়ে উপযুক্ত তথ্য সংযুক্ত করা সহজ হয়। তাতে পরবর্তীতে প্রজ্ঞাপনে সংশোধনী আনার প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে।