কোনো কোনো কারখানা-মালিক মজুরি পরিশোধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না: ডিআইএফই

কোনো কোনো কলকারখানা–মালিক শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। ডিআইএফই আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি মাসের মজুরি পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে দেওয়ার বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ আলোচনার মাধ্যমে মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধের সময় ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে কোনো কোনো কলকারখানা–মালিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে শ্রমিকেরা মজুরির দাবিতে মহাসড়ক ও কারখানার গেটে বিক্ষোভ করছেন। বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠান।

ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব শিল্পকারখানা–মালিক ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মজুরি দিতে ব্যর্থ হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মজুরি পরিশোধে ব্যর্থ কারখানার তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা করা হবে। এ ছাড়া মজুরি দিতে ব্যর্থ কলকারখানার লাইসেন্স নবায়ন আগামী অর্থবছরে স্থগিত করা হবে।

তৈরি পোশাকশিল্পের অধিকাংশ কারখানা মজুরি পরিশোধ না করায় শ্রম অসন্তোষের ঘটনা ঘটছে। আজ বুধবার ঢাকার বাড্ডা, কমলাপুর, মিরপুরের বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। গাজীপুর ও চট্টগ্রামেও শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।

বিজিএমইএর সদস্যসংখ্যা ৪ হাজার ৬২১। এর মধ্যে ২ হাজার ২৭৪টি সরাসরি রপ্তানি করে। কারখানাগুলোর মধ্যে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ১৮৬টি মার্চ মাসের মজুরি দিয়েছে। বিজিএমইএ বলছে, ঢাকা মহানগরীর ৩৭২টির মধ্যে ২০১টি, গাজীপুরের ৮১৮টির মধ্যে ৪৩২টি, সাভার-আশুলিয়ার ৪৯১টির মধ্যে ২৪৩টি, নারায়ণগঞ্জের ২৬৯টির মধ্যে ১১৮টি, চট্টগ্রামের ৩২৪টির মধ্যে ১৫৬টি এবং অন্যান্য এলাকার ৪২টির মধ্যে ৩৬টি মজুরি দিয়েছে। সরাসরি রপ্তানিকারক সদস্যদের তথ্য দিলে সাব–কন্ট্রাকটিং বা ঠিকায় কাজ করা সদস্য কারখানার বিষয়ে কিছুই জানায়নি বিজিএমইএ।