পণ্য খালাস না করলে আর ছাড় নয়

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সাধারণ ছুটির সময় আমদানি হওয়া পণ্য ছুটির মধ্যেই খালাস করলে কনটেইনার রাখার ভাড়া শতভাগ ছাড় দিয়েছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই আদেশের পর বন্দর থেকে পণ্য খালাসের হার ৩০ শতাংশে নেমে আসে। এতে কনটেইনার জটে পড়ে বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম থমকে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্দর সচল রাখতে এই সুবিধা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল শনিবার বন্দরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ ছুটির সময় আমদানি হওয়া পণ্য ২০ এপ্রিল বা কাল সোমবারের মধ্যে খালাস না করলে প্রচলিত নিয়মে কনটেইনার রাখার ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের হাতে সময় আছে মাত্র এক দিন। এ সময়ে খালাস না হলে পুরো ভাড়াই পরিশোধ করতে হবে। 

বন্দর সচিব ওমর ফারুক আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৭ মার্চ থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয়েছে সেগুলো কালকের মধ্যে খালাস না নিলে শতভাগ ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে না। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ ছুটির সময় পরিবহন সংকটসহ নানা কারণে ব্যবসায়ীদের জন্য কনটেইনার রাখার ভাড়ায় এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এটি এখন বুমেরাং হয়েছে। রপ্তানি আদেশ স্থগিত বা বাতিল হওয়ায় পোশাকশিল্পের কাঁচামালও খালাস হয়নি এ সময়। পোশাকশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও সরঞ্জামবাহী ২২ হাজারের বেশি কনটেইনার পড়ে আছে বন্দরে। 
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর আরও কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। 
বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানোর পর তা বিনা ভাড়ায় চার দিন পর্যন্ত বন্দর চত্বরে রাখা যায়। এরপর প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন ২০ ফুট লম্বা কনটেইনারের জন্য ছয় ডলার, পরবর্তী সপ্তাহে প্রতিদিন ১২ ডলার এবং ২১তম দিনের পর থেকে প্রতিদিন ২৪ ডলার করে ভাড়া দিতে হয়। এ হিসাবে সাধারণ ছুটির সময় চার দিনের পরিবর্তে বিনা ভাড়ায় ২৫ দিন পর্যন্ত কনটেইনার রাখার সুযোগ পেলেন ব্যবসায়ীরা।