কারখানা বন্ধের নির্দেশ, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহ ব্যাহত

করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চট্টগ্রাম নগরে সিমেন্ট কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। তবে ভিন্ন চিত্র শহরের বাইরে জেলার অন্য এলাকাগুলোয়। নগরের বাইরে জেলায় সিমেন্ট কারখানাগুলো সচল রয়েছে। শহরের কারখানা বন্ধ থাকায় কর্ণফুলী টানেলের মতো প্রকল্পের কাজে সিমেন্ট সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের নগর পুলিশ প্রশাসন থেকে নগরে অবস্থিত কারখানাগুলো বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরই অনেকেই কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। আবার পুলিশ প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশনার পরও কালুরঘাট, কর্ণফুলী উপজেলা ও পতেঙ্গা থানা এলাকায় অন্তত চারটি সিমেন্ট কারখানা সীমিত আকারে উৎপাদন চালু রেখেছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শহরে অবস্থিত কারখানাগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

তবে কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়ার পর কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে প্রকল্পের কার্যালয় থেকে। গত রোববার ইস্যু করা ওই চিঠিতে বলা হয়, টানেলের নির্মাণকাজ চালু রাখতে নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ দরকার। অন্যথায় নির্মাণকাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে না। নির্মাণকাজে সবচেয়ে বেশি দরকার সিমেন্ট।

প্রকল্পের সাইট অফিসের ক্রয় ব্যবস্থাপক সান হাদের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ‘শুরু থেকে কর্ণফুলী টানেলে সিমেন্ট সরবরাহ করছে ন্যাশনাল সিমেন্ট লিমিটেড (প্রিমিয়ার ব্র্যান্ডের সিমেন্ট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান)। টানেলের নির্মাণকাজের সময়জুড়ে এই কোম্পানি গুণগতমানের সিমেন্ট সরবরাহ করছে।’ এ জন্য কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজ সচল রাখাতে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখার আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।

ন্যাশনাল সিমেন্ট লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া আজ প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে শনিবার থেকে কারখানা বন্ধ রাখা রয়েছে। এ কারণে কর্ণফুলী টানেলে সিমেন্ট সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে তাঁরা কারখানা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কারখানাটিও মূল শহরের বাইরে কর্ণফুলী উপজেলার একপ্রান্তে নদীতীরে অবস্থিত।