অনলাইন বার্ষিক সভায় গ্রামীণফোনের লভ্যাংশ অনুমোদন

করোনাভাইরাস ঠেকাতে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে ‌'ভার্চুয়াল বা অনলাইনে' বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম খাতের একমাত্র কোম্পানি গ্রামীণফোন।

গ্রাহকসংখ্যার দিক থেকে এটি দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর। আজ মঙ্গলবার সকালে তাদের ২৩তম এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় ২০১৯ সালের জন্য ঘোষিত ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৮ সালের জন্য অপারেটরটি ২৮০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী এবং শোয়ারধারী, কর্মী ও অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ বছর গ্রামীণফোন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে। এর আগে বিএসইসির নির্দেশনা মেনে একইভাবে এজিএম করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আরেক বহুজাতিক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন।

গ্রামীণফোন বলছে, ভার্চুয়াল এজিএমর ধারণাটি বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নতুন। আর প্রথমবারের মতো অনলাইনে অনুষ্ঠিত গ্রামীণফোনের এ সভায় শেয়ারহোল্ডারের উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় এজিএমে অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান পিটার বি ফারবার্গ, প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ডের সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান পিটার বি ফারবার্গ বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য সবার সম্মিলিত প্রয়াস একান্ত জরুরি এবং সবাই মিলে আমরা অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। সমাজের ক্ষমতায়ন ঘটাতে পারবো।'

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের ৫০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং ১০ হাজার টেস্টিং কিট দেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে পিপিই ও টেস্টিং কিটগুলো দেওয়া হবে।

বিতর্কিত নিরীক্ষা দাবির বিষয়টি বিবেচনায় ২০১৯ সাল গ্রামীণফোনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর ছিলো বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও বলা হয়, গ্রামীণফোন আদালতে অথবা সালিশের মাধ্যমে বিবাদমান এই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধি-নিষেধ সম্পর্কে পেটার বি ফারবার্গ বলেন, 'আমরা বিবাদমান এই বিষয়টির বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বচ্ছ সমাধানের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি, যাতে করে, আমাদের ক্রেতা, অংশীদার ও শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার সুরক্ষিত হয়।'