ইন্টারনেট থেকে জিপির আয় বেড়েছে ২৪%

দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের প্রান্তিকে অপারেটরটির রাজস্ব বৃদ্ধির হার ছিল ১১ দশমিক ৬ শতাংশ।

সব মিলিয়ে আলোচ্য প্রান্তিকটি গ্রামীণফোনের জন্য খুব একটা ভালো যায়নি। এ সময় রাজস্ব প্রবৃদ্ধি যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে গ্রাহকও। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ, যা আগের প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) থেকে ১২ লাখ কম।

গ্রামীণফোনের এক বিজ্ঞপ্তি ও ওয়েবসাইটে দেওয়া আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ বা ৪ কোটি ৪ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। প্রথম প্রান্তিকে ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমরা ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। মার্চ পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) অনুমোদনের ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধিনিষেধ থাকায় আমরা পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে পারিনি। অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকের শুরু থেকে আমাদের নম্বর সংকট দেখা দিয়েছিল, যেটি মোট গ্রাহকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে চমৎকারভাবে বাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নেটওয়ার্কে আমাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় প্রথম প্রান্তিকের শেষে ফোর-জি গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ।’
ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এনওসি পাওয়া শুরু করেছি। আমরা আশা করি সামনের দিনগুলো আমাদের গ্রাহকসেবার মান আরও উন্নত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
গ্রামীণফোন জানিয়েছে, আলোচ্য প্রান্তিকে ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ মার্জিনসহ কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭ কোটি টাকা। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ দশমিক ৯২ টাকা।
গ্রামীণফোনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) ইয়েন্স বেকার বলেন, ‘প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আমাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা ইন্টারনেটে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছি।’
গ্রামীণফোন জানায়, প্রথম প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ সময় নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের পাশাপাশি ১৯৭টি নতুন ফোর-জি সাইট করা হয়েছে।
মার্চ শেষে গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৪২। ভ্যাট, ফোর-জি লাইসেন্স মাশুল, তরঙ্গ ব্যবহারের মাশুল, শুল্ক ও অন্যান্য খাতে প্রথম প্রান্তিকে সরকারি কোষাগারে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা দিয়েছে গ্রামীণফোন, যা মোট আয়ের ৬৮ শতাংশ।