পোশাক কারখানা খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি

করোনার কারণে বন্ধ থাকা পোশাক কারখানা খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিগগরিই খুলবে পোশাক কারখানা। দুই একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে গতকাল বুধবার পোশাক ও বস্ত্র খাতের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের বৈঠকে কারখানা খোলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। অন্যদিকে টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সাংসদ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

বৈঠকে উপস্থিত টাস্কফোর্সের চারজন সদস্য জানান, বন্ধ পোশাক কারখানা ধাপে ধাপে খোলা হবে। সেটি ২৬ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে হতে পারে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রথম কোন কোন এলাকায় কিভাবে খোলা হবে, সেটির একটি গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সেটি হলে দুই একদিনের মধ্যে কারখানা খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে টাস্কফোর্স। এ ছাড়া যেসব কারখানা লে-অফ করেনি, তারা শ্রমিক-কর্মীচারীর বেতন-ভাতা দিতে সরকারের ঘোষিত তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় পুরো অর্থ ঋণ হিসেবে পাবে। অন্যদিকে যারা লে-অফ করেছে, তারাও প্রয়োজনীয়য় ঋণ পাবে, তবে অর্ধেক। প্রকৃতপক্ষে লে-অফ করা কারখানাগুলো শ্রমিকের মজুরি অর্ধেকই দেবে। বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা দিতে সরকার ঘোষিত একটি প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ পাবে। সেই ঋণের সুদহার হবে সাড়ে চার শতাংশ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, শ্রমসচিব কে এম আলী আজম, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক, সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ ও আবদুস সালাম মুর্শেদী, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান, সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন প্রমুখ। তাঁদের কেউই বৈঠকে পর আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ৬ এপ্রিল বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ যৌথ বিবৃতিতে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। পরবর্তী সময়ে সরকার ঘোষিত ছুটি বৃদ্ধি করা হলে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় উভয় সংগঠন। গতকাল সরকার নতুন করে ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি বিজিএমইএও।