৮৫ টাকা কেজির আদা বিক্রি ২৫০ টাকায়

বেশি দামে বিক্রির জন্য খাতুনগঞ্জের শাহ আমানত ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১২ টন আদা মজুত করে রেখেছিল পান-সুপারির গুদামে। সোমবার অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৮৮ বস্তা আদা উদ্ধার করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সেই আদা প্রতি কেজি ১২০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি আদা মজুত করায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, শাহ আমানত ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান আদা মজুত করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি গত ২১ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে প্রতি কেজি ৮৫ টাকা দামে এসব আদা আমদানি করে। গত এক সপ্তাহ ধরে সেই আদা প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করে আসছিল।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় খাতুনগঞ্জে এ অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। সেনাবাহিনীর টিম লিডার হিসেবে অভিযানে ছিলেন ক্যাপ্টেন কাফিউন নাহার।

একই অভিযানে খাতুনগঞ্জভিত্তিক আদার দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের আরও তিন আড়তদারকে অধিক মুনাফায় আদা বিক্রির জন্য ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, তাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেট এলাকায় অবস্থিত মেসার্স আজাদ সিন্ডিকেট নামের কৃষিপণ্য আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে 'পেপারলেস ব্ল্যাক মার্কেটিং'- এর মাধ্যমে আদার মূল্য বৃদ্ধি করার সঙ্গে জড়িত। আমদানিকারক এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বর্তমানে খাতুনগঞ্জ থেকে পলাতক রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া