এবার ভারতের জিডিপিতে কোনো প্রবৃদ্ধি নাও হতে পারে

ভারতীয় রুপি। ছবি: রয়টার্স
ভারতীয় রুপি। ছবি: রয়টার্স

কোভিড–১৯ বা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি ২০২১ অর্থবছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কোনো রকম প্রবৃদ্ধি নাও হতে পারে। অর্থাৎ এই অর্থবছরে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে শূন্য শতাংশ।

ঋণমান নির্ণয়কারী আন্তর্জাতিক সংস্থার মুডির বিশ্লেষকেরা এমন আভাস দিয়েছেন। তবে পরবর্তী ২০২২ অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

মুডি জানায়, চলতি ২০২১ অর্থবছরে ভারতের বাজেট ঘাটতি বেড়ে সাড়ে ৫ শতাংশে উঠতে পারে। চলতি বাজেটে অবশ্য ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছিল সাড়ে ৩ শতাংশ। মুডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে একদিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা একেবারেই কমে গেছে, অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে।

সংস্থাটির মতে, ‘ভারতে গ্রামাঞ্চলের মানুষের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে এবং ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এগুলো অর্থনৈতিক দুর্বলতা বাড়াবে।

যদি উচ্চ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি না হয়, তাহলে ভারত সরকারের পক্ষে বাজেট ঘাটতি কমানো এবং দায় মানে ঋণের বোঝা কমানো কঠিন হয়ে পড়বে।

ভারত সরকার করোনার প্রভাব মোকাবিলায় এরই মধ্যে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি রুপির আর্থিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এক ট্রিলিয়নে এক লাখ কোটি। এই প্যাকেজের আওতায় দেশটির কোটি কোটি দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দিতে শিগগির দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।

আজ রোববার বেলা একটা নাগাদ ভারতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এমন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৯৩৯–এ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ হাজার ১০৯ জন। সূত্র: রয়টার্স