করোনাযুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিল 'নগদ'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৬০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আর্থিক লেনদেন সেবা 'নগদ' এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

গতকাল রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এই অনুদানের চেক গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দেওয়া প্রসঙ্গে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, 'এই দুর্যোগে দেশের সব মানুষের সেবা নিশ্চিত করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নেতৃত্বে নগদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এই ক্ষুদ্র অনুদান গ্রহণ করায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। করোনাযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করতে যেকোনো প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো নির্দেশনা পালন করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে।'

নগদ শুরু থেকেই করোনাযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সেবা নগদ সরকারি ঘোষণার প্রথম দিন থেকে করোনা মোকাবিলায় সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় জরুরি সেবা হিসেবে নগদ এক দিনের জন্যও তার কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি। এ ছাড়া নগদ তার প্রত্যেক কর্মীর ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) নিশ্চিত করেছে। এবং তার সব উদ্যোক্তা, ডিস্ট্রিবিউটর, বিক্রয়কর্মীসহ প্রায় দুই লাখ সদস্যের প্রত্যেকের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তার দায়িত্ব নিয়েছে।

করোনাদুর্গতদের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বল্প আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৭ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দেবে নগদ। এর মাধ্যমে সরকারের ৪২৫ কোটি টাকা উপকারভোগীদের কাছে মুহূর্তে পৌঁছে দেবে রাষ্ট্রীয় সেবা নগদ। আর উপকারভোগীদের এই টাকা উত্তোলনে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ প্রতি হাজারে মাত্র ছয় টাকায় নিয়ে এসেছে নগদ তার 'স্বাধীন মার্চেন্ট' উদ্যোগের মাধ্যমে, যা বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং ইতিহাসে সর্বনিম্ন রেট। বর্তমানে একই সেবার জন্য অন্যান্য অপারেটরে প্রতি হাজারে খরচ হয় ২০ টাকা।

কৃষকের ফসল জমি থেকে সরাসরি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে ডাক বিভাগের সহযোগিতায় 'কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে' কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় কৃষক বিনা খরচে ডাক বিভাগের গাড়িতে পণ্য শহরে পাঠাতে পারবেন এবং নগদের স্বাধীন মার্চেন্টের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য গ্রহণ করতে পারবেন। নগদ দেশের সব স্বনামধন্য ই-কমার্স ও গ্রোসারি বিক্রেতাদের একটি প্ল্যাটফর্মে এনে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করছে।


নগদ কৃষকদের সহায়তার জন্য গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (জিডিআইসি) সঙ্গে যৌথভাবে 'আমরা করব জয়' নামের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে সেই টাকা ঈদুল ফিতরের আগে অসহায় কৃষকদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব পালন করার কারণে অনেকে আপনজনদের কাছ থেকেও দূরে আছেন। কিন্তু এখনই শ্রেষ্ঠ সময় মানবিকভাবে একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়ানোর। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সব উদ্যোগে নগদ সব সময় পাশে থাকবে। কারণ, নগদ বিশ্বাস করে, 'মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে'।