করোনায় আক্রান্ত মেটলাইফ গ্রাহক পাবেন ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা

করোনায় নিজেদের ১০ লাখ একক পলিসি গ্রাহক ও এজেন্টদের জন্য ‘সাথে আছি’ নামে বিশেষ একটি স্বাস্থ্য ও আর্থিক সেবা চালু করেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু করা হয়। মেটলাইফ বাংলাদেশ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেটলাইফের কোনো গ্রাহক ও এজেন্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে থাকলে (হোম কোয়ারেন্টিন) ৫ হাজার টাকা পাবেন। আর হাসপাতালে ভর্তি হলে পাবেন ২০ হাজার টাকা। তবে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে গ্রাহকের নমিনি বা উত্তরাধিকারীকে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। কর্মসূচির আওতায় এসব আর্থিক সুবিধার কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়, এটি একান্তই সেবা, কোনো পণ্য নয়। এই সেবার বিনিময়ে কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেবে না মেটলাইফ।

এ ছাড়া বিনা খরচে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা কোভিড-১৯ অথবা অন্য যেকোনো স্বাস্থ্যগত বিষয়ে অনলাইন চ্যাট বা ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তারি পরামর্শ নিতে পারবেন মেটলাইফের গ্রাহকেরা।

তবে উভয় সুবিধা নিতে গেলে মেটলাইফের একক পলিসি গ্রাহকদের আগে অনলাইনে নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করতে হবে বলে জানানো হয়। বলা হয়, নিবন্ধন লিংক ও অন্যান্য তথ্য https://www.metlife.com.bd/sathe-achi/-এই ওয়েবসাইটে রয়েছে। সাইন-আপ করার পর থেকে নিবন্ধন করার সময়কাল ৩০ দিন পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। নিবন্ধন করা না থাকলে মেটলাইফের গ্রাহক বা এজেন্ট কেউই এ সুবিধার আওতায় আসবেন না। নিবন্ধনের জন্য মেটলাইফের পলিসি থাকা বাধ্যতামূলক হলেও এজেন্টদের ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেটলাইফ বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ হাম্মাদুল করীম বলেন, ‘মেটলাইফের কাজের প্রেরণার মূলে রয়েছে গ্রাহক। আমরা তাই শুরু থেকেই গ্রাহকদের নিয়ে ভাবছিলাম। তাদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার প্রয়াস থেকেই মেটলাইফের এই নতুন কর্মসূচি।’

জানা গেছে, এটি মূলত মেটলাইফ বাংলাদেশ এবং গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের পারস্পরিক সহায়তার একটি ফল। কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশন বিভাগ ডাক্তারি পরামর্শ সেবা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে মেটলাইফের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

মেটলাইফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রাহকদের নিবন্ধনের সময় পলিসি নম্বর, জন্ম মাস ও বছরের তথ্য দিতে হবে। এজেন্টদের দিতে হবে তাঁদের কোড নম্বর। নমিনির নাম, মোবাইল নম্বর ও গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ও উল্লেখ করতে হবে। নমিনি হতে পারবেন পিতা-মাতা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানেরা। আর আর্থিক সহায়তা পেতে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে হাসপাতালের সনদ লাগবে।

মেটলাইফের এই ‘সাথে আছি’ নিয়ে জানতে চাইলে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘জেনে ভালো লাগল। অন্য বিমা কোম্পানিগুলোও যদি একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়, গ্রাহকেরা তখন আশ্বস্ত হতে পারবেন যে আমাদের পাশে আমাদের কোম্পানি আছে।’

দেশের ৩০টি জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক রয়েছেন বলে আইডিআরএ সূত্রে জানা যায়।