অর্থ ছাড় ও বিল দাখিলের সময় বেঁধে দেওয়া হলো

সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের অর্থ ছাড় (অবমুক্তি) ও বিল দাখিলের নতুন সময়সীমা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ অবমুক্তি ও বিল দাখিলের বিষয়ে গত রোববার একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে জারি করার কথা উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ ছাড়ের সময়সীমা আগামী ১০ জুন। তবে পরিচালন ও উন্নয়ন—উভয় খাতে নতুন ব্যয় বিল দাখিলের সময়সীমা আরও চার দিন বাড়িয়ে ১৪ জুন করা হয়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে পরিচালন ও উন্নয়ন—উভয় খাতে ফেরত বিল দাখিল করতে হবে ২১ জুনের মধ্যে। তবে উভয় বাজেটের আওতায় বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর সর্বশেষ তারিখ ৩০ জুন। এ ছাড়া ১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইস্যুকৃত চেকগুলোর মেয়াদ ১২ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকবে। আর ১৬ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে ইস্যুকৃত চেকগুলোর মেয়াদ থাকবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। বাজেট বরাদ্দের আওতায় বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আমদানি ও মূল্য পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ হচ্ছে ৩০ জুন। যেসব ক্ষেত্রে ৩০ জুনের মধ্যে আমদানি ও মূল্য পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না, সেসব ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণগুলো চলতি অর্থবছরে স্থাপিত ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে আগামী অর্থবছরে পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে কারণগুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে ২১ জুনের মধ্যে। বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে কোনো আমদানি এলসি স্থাপন বা নিষ্পত্তির সর্বশেষ তারিখ হচ্ছে ৩০ জুন।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, নিরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে কাজগুলো করা দরকার। অর্থবছরের শেষ দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, দপ্তর বা সংস্থা দাখিলকৃত নিয়মিত বিল ও ফেরত বিলের ওপর নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ পূর্ব নিরীক্ষা করে থাকে। এ কাজ সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষে ব্যয় বিল দাখিল, চেক ইস্যু ও চেক নগদায়নের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা দরকার। আর এ কারণেই চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যয় বিল দাখিল, চেক ইস্যু ও চেক নগদায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্দেশনা প্রয়োগের স্বার্থে ট্রেজারি বিধিমালার এসআর ৮৫-এর কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।