২,০৫,১৪৫ কোটি টাকার এডিপি পাস

আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পাস করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। মূল এডিবির আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আরও ৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে খসড়া এডিপির আকার দাড়াল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা।

আজ মঙ্গলবার ভার্চুয়াল এনইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এই সময়ে গণভবনে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এনইসি'র অন্য সদস্যরা পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

এবারের এডিপির চেয়ে আগামী অর্থবছরের মূল এডিপি এক শতাংশের কিছুটা বেশি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মূল এডিপির আকার বাড়ছে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। এডিপির আকার কম বৃদ্ধির দিক থেকে একটি রেকর্ড। সাধারণত এডিপির আকার ১০-১২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কাঙ্খিত হারে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবশ্য চলতি অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির আকার কমিয়ে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা করা হয়েছে।

সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনে ফিরে এসে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি, স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই দুটি খাতের প্রকল্প প্রস্তাব আসার সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। করোনার ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে এডিপি বাস্তবায়ন কাঙ্খিত পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

আগামী এডিপিতে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। বিদেশি সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা।

স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকল্পসহ এডিপিতে মোট প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৩ টি। এর মধ্যে মূল এডিপির প্রকল্প ১ হাজার ৫৮৪ টি।

আগামী এডিপিতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন খাত। এ খাতে মোট বরাদ্দ ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। এডিপির ২৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে এই খাতটি। এরপরে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাত ২৫ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিদ্যুত খাতে ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা পেয়েছে। ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে স্বাস্থ্য খাত সাত নম্বরে আছে। স্বাস্থ্য খাতে এডিপির ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর ৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা নিয়ে কৃষি খাত অষ্টম স্থানে আছে। এই খাতে এডিপির ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ বরাদ্দ আছে।