গ্রামীণফোনের দাবি পর্যালোচনা করবে বিটিআরসি

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন নিরীক্ষা দাবির যেসব বিষয়ে নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছে তা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। তবে এখনকার নিরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে নিরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আদালতের আদেশ মেনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাওনা দাবির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোন আজ মঙ্গলবার এক হাজার কোটি টাকা জমা দিতে গেলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তারা আরও এক হাজার কোটি টাকা জমা দিয়েছিল। এনিয়ে বিটিআরসিকে ২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে গ্রামীণফোন।
টাকা জমার বিষয়ে য় অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, 'আমরা গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানাই। তারা সময়ের আগেই টাকা দিয়েছে। এটি জনগণের অর্থ। করোনার এই সময়ে এক হাজার কোটি টাকা সরকারের উপকারে আসবে।'

আদালতের নির্দেশে গ্রামীণফোন দুই হাজার কোটি টাকা ও রবি আজিয়াটা ১৩৮ কোটি টাকা জমা দিয়েও নিরীক্ষা নিয়ে মতবিরোধ থাকছেই। তারা বিটিআরসিকে দেওয়া টাকাকে জমা হিসেবে উল্লেখ করছে। বলছে, নিরীক্ষা দাবির বিষয়টি সুরাহা হলে এ টাকা সমন্বয় হবে।
নিরীক্ষা দাবির বিষয়টি কীভাবে সুরাহা করা হবে জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, দুই পক্ষ এক সঙ্গে বসে একটি সিদ্ধান্তে আসা হবে। গ্রামীণফোন যেসব দ্বিমত পোষণ করছে, তা যুক্তি দিয়ে তুলে ধরতে পারলে বিটিআরসি বিবেচনা করবে।

নতুন করে নিরীক্ষা হবে না উল্লেখ করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এখনকার নিরীক্ষা আদালতের নির্দেশে হয়েছে। নতুন করে করার সুযোগ নেই।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এয়ারটেল ও বাংলালিংকের ওপর নিরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে।

করোনাভাইরাস সংকট কেটে যাওয়ার পর বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, শিগগিরই একটি সমাধান আসবে বলে গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে। তিনি আরও বলেন, 'আমরা দ্বিতীয় কিস্তির চেক সময়ের আগেই আজ বিটিআরসিতে জমা দিলাম। প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার পর থেকেই বিটিআরসির কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়ে আসছি।'

প্যাকেজ অনুমোদন ও সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে এ টাকা জমা দিয়েছে গ্রামীণফোন।

বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছ নিরীক্ষা দাবি হিসেবে কর ও অন্যান্য খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করছে। আরেক অপারেটর রবির কাছে দাবি করছে ৮৬৭ কোটি টাকা।

এ টাকা আদায়ে বিটিআরসি কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দুই অপারেটরই আদালতে যায়। আদালত দুই অপারেটরকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।