ভারতে করোনার চেয়ে দুশ্চিন্তা বেশি অর্থনৈতিক সংকট নিয়েই

ভারত
ভারত

ভারতীয়রা এখন করোনাভাইরাসের চেয়ে অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন। লখনৌভিত্তিক ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (আইআইএম) সেন্টার ফর মার্কেটিং ইন এমার্জিং ইকোনমিজ পরিচালিত এক অনলাইন জরিপে এমন মতামত উঠে এসেছে।

ভারতের ২৩ রাজ্যের ১০৪টি শহরে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং পাবলিক সেন্টিমেন্ট ডিউরিং লকডাউন’ বা ‘অবরুদ্ধ অবস্থায় জনগণের মনোভাব’ শীর্ষক এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। ফেসবুক, লিঙ্কডইন প্রভৃতি সামাজিক মিডিয়ায় পরিচালিত হয় এই জরিপ।

ইতিমধ্যে ভারতে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে। অর্থাৎ লকডাউন জারির পর তা চতুর্থবারের মতো বাড়ানো হয়েছে।

জরিপমতে, ভারতের ৭৯ শতাংশ মানুষই করোনার চেয়ে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। ৪০ শতাংশ জানিয়েছেন, অর্থনীতিকে ঘিরেই তাঁদের যত ভয়। ২২ শতাংশ লোক দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

জরিপে নয়ডার ৪৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড না থাকার কারণে শ্রমজীবীদের ওপর চাপ পড়বে। একদিকে বেকারত্ব বাড়বে ও আয় কমবে, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

জবলপুরের এক ছাত্র বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ করোনা মহামারি আমাদের আগামী কয়েক বছরের সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে। বর্তমান অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণের ভবিষ্যতও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’

তবে ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ভারতের সক্ষমতা রয়েছে বলে তাঁদের আস্থা আছে। লকডাউন ঘোষণা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাকে নিজেদের আস্থার কারণ বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।

মুম্বাইয়ের ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নেওয়া নজিরবিহীন লকডাউন পরিপালনের পদক্ষেপের ফলে আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় আগেভাগে করোনা সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।’

এদিকে ৪০ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তাঁরা সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে আস্থাশীল নয়।