করোনায় ৩০ বছরে এই প্রথম প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে লেজেগোবরে চীন

বার্ষিক পার্লামেন্টারি সভা শুরুর আগে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বক্তব্য রাখেন। ছবি: রয়টার্স
বার্ষিক পার্লামেন্টারি সভা শুরুর আগে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বক্তব্য রাখেন। ছবি: রয়টার্স

চলতি অর্থবছরের জন্য কোনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে না চীন। করোনা মহামারির কারণে ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম এই সিদ্ধান্ত নিল তারা। আজ শুক্রবার দেশটির বার্ষিক পার্লামেন্টারি সভা শুরু হওয়ার আগে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এই ঘোষণা দেন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

১৯৯০ সাল থেকে প্রতিবছর প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চীন।

গত বছরের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনার উৎপত্তি। এই ভাইরাস মোকাবিলায় চলতি বছরের শুরু থেকে কঠোর লকডাউন জারি করে চীন। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর কারণ হলো, কোভিড -১৯ মহামারি এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য পরিবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে আমাদের দেশ এমন কয়েকটি বিষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে, যা কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা আগাম বলা কঠিন।’

লি সতর্ক করেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ খরচ, বিনিয়োগ ও রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের ওপর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। ফলে আর্থিক ঝুঁকি বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে সামাজিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে। উদ্বেগ বাড়ছে। তবে সরকার অর্থনৈতিক সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

করোনা মহামারি, বাণিজ্য ও হংকং ইস্যু নিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার চালানোর পেছনে দায়ী। মহামারি ছড়ানোর পেছনে চীনের ভূমিকা নিয়ে রিপাবলিকান নেতারা বরাবরই অভিযোগের তির ছুঁড়ে আসছেন। এর মধ্যে গতকাল চীন গত বছরের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের কারণে হংকংয়ের ওপর নতুন জাতীয় সুরক্ষা আইন কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়েছে।