মার্চ ও এপ্রিলের ভ্যাট রিটার্ন দেওয়া যাবে ৯ জুন পর্যন্ত

আগামী ৯ জুন পর্যন্ত মার্চ ও এপ্রিল মাসের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট রিটার্ন দিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। এই সময়ের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিলে জরিমানা ও সুদ দিতে হবে না। যারা নির্ধারিত সময়ে ভ্যাট রিটার্ন দিতে পারেননি, তাদের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারন ছুটি ঘোষণা করেছে। কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি আছে। ফলে বহু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যেমন বন্ধ রয়েছে, আবার অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দিতে পারেনি। ভ্যাট আইনে প্রতি মাসের ভ্যাট রিটার্ন পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে।

গত জুলাই মাসে চালু হওয়া নতুন ভ্যাট আইনে রিটার্ন জমার সময় বৃদ্ধির কোনো সুযোগ ছিল না। এনবিআরকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। সময়মতো ভ্যাট রিটার্ন জমা না দিলে ১০ হাজার টাকার জরিমানা ও ভ্যাটের টাকার মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার বিধান আছে।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে গত বুধবার (২০ মে) আপৎকালীন সময়ে সুদ ও জরিমানা আদায় ছাড়াই এনবিআরকে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধির ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ভ্যাট আইনে যাই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি ও দৈব-দুর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে এমন আপৎকালীন সময়ের জন্য সুদ ও জরিমানা আদায় হতে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক দাখিলপত্র পেশের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে পারবে এনবিআর।