ইইউর ৮৩ হাজার কোটি ডলারের পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা

ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) ৭৫০ বিলিয়ন বা ৭৫ হাজার কোটি ইউরোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই অর্থ ৮২ হাজার ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশের সাত লাখ কোটি টাকার মতো। গত শতকের ত্রিশের দশকের মহামন্দার পরে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতিতে এই প্যাকেজ ঘোষণা করা হল, যাতে সদস্য দেশগুলো সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারে।
ইউরোপের ২৭ জাতির জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলো কভিড– ১৯ বা করোনাভাইরাসে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। এর মধ্যে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলো আগে থেকেই অবশ্য বড় অংকের ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে আছে। তবে নতুন আর্থিক প্যাকেজ থেকে ইইউর সব সদস্য দেশকে অনুদানের পাশাপাশি ৩০ বছর মেয়াদে ঋণ দেওয়া হবে।
ইউরোপের বৃহত্তম ও বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতি জার্মানি পুঁজিবাজার থেকে নতুন এই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজের অর্থ সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে। 
ইইউর নির্বাহী কমিশন ইসির প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন আজ বুধবার প্যাকেজটি ঘোষণা করেন।সংস্থাটির ইকোনমি কমিশনার পাওলো জেন্টিলনি এই প্যাকেজকে 'ইউরোপের ঘুরে দাঁড়ানোর ভিত্তি' বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর ইসি প্যাকেজটিকে 'পরবর্তী প্রজন্মের ইইউ' হিসেবে অভিহিত করেছে।ইইউর ২৭ সদস্যের সবার সমর্থন না থাকলে এই উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডসে, ডেনমার্ক ও সুইডেন অবশ্য তুলনামূলক গরিব দেশগুলোকে অনুদানের পরিবর্তে ন্যূনতম সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলেছে।
তবে ইইউর প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন প্যাকেজের অর্থ ব্যবহারের বিস্তারিত পরবর্তীতে তুলে ধরবেন। কীভাবে এই অর্থ ইইউর ২০২১–২৭ সালের বাজেটের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে সেটিও জানাবেন তিনি। তবে তহবিলটির অর্থ ব্যবহারে বিনিয়োগ ও সংস্কারেই বেশি জোর দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইইউর নেতারা আগামী ১৮ জুন ভিডিও কলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ব্যবহারের বিস্তারিত ঠিক করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সদস্যদের নতুন যেকোনো আর্থিক সহায়তা করতে হলে তা ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। সূত্র: বিবিসি, সিএনবিসি।