ঘটনা অস্বীকার করে ব্যাখ্যা দিল ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংক

সিকদার গ্রুপের দুই পরিচালক দ্বারা এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অতিরিক্ত এমডি নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় ব্যাখ্যা দিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে সিকদার গ্রুপ নিজে কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেনি। ন্যাশনাল ব্যাংক সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাছেত মজুমদার আজ এক বিবৃতিতে জানান, ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃক ঋণ আবেদন এবং ১৯ মে গুলশান থানার মামলা পর্যালোচনা করে জানাচ্ছি যে এক্সিম ব্যাংকের জনৈক পরিচালক ব্যবসা প্রসারের জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকারের ঋণ–সুবিধা গ্রহণ করেন। জনৈক পরিচালক তাঁর কন্যার নামেও ঋণ–সুবিধা গ্রহণ করেন, তিনি বেনামে ঋণ–সুবিধা গ্রহণের জন্য প্রস্তাব পাঠান। গুলশান থানায় করা মামলার বাদী নিজেও ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ঋণ–সুবিধা নিয়েছেন। এসব ঋণের উপযুক্ত জামানত নেই। এরপরও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জনৈক পরিচালক ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ১৩ মে ৫ কোটি টাকা ঋণ–সুবিধা গ্রহণ করেন।

ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, ৭ মে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ঘটনার বিবরণ দেখিয়ে সিরাজুল ইসলাম মামলা করেন। মামলায় এক্সিম ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। অথচ রন হক সিকদার এ ধরনের কোনো ঋণের আবেদন করেননি। মামলার বাদী তা কোনোভাবে দেখাতেও পারবেন না। এ ছাড়া রন হক সিকদার ও ন্যাশনাল ব্যাংকর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৭ মে এক্সিম ব্যাংকের গুলশান অ্যাভিনিউ শাখায় যাননি, কোনো ঋণ প্রস্তাব নেই এবং ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডির সঙ্গে দেখা করেননি। সে ক্ষেত্রে ঋণ ও ঋণের জামানত–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দর–কষাকষির সুযোগ আসতে পারে না। আর মামলার বাদী এই ঘটনার সাক্ষীও নন। তিনি এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডির সঙ্গে আলোচনা না করে শুধু নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার ১২ দিন পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা করেন। এ মামলা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য করা হয়েছে।

ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং তার পরিচালনা পর্ষদ স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তাঁর মক্কেলদের হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। তাঁর মক্কেলদের দৃঢ় বিশ্বাস, মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং প্রকৃত দোষী এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং বাদীকে আইনের ও ন্যায় বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

এক্সিম ব্যাংকের বক্তব্য: এদিকে মামলার বাদী ও এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘যা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলা করা হয়েছে। আমরা ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডিকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে কীভাবে চলবে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি, সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ বিচার হবে।’