সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে নির্বাহী আদেশে সই করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বৃহস্পতিবার তিনি এই স্বাক্ষর করবেন বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। খবর বিবিসি অনলাইনের।

এর আগে নিজের অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে না এমন সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কের শুরু গত মঙ্গলবার। ওই দিন ট্রাম্পের বিভিন্ন টুইটের ফ্যাক্ট চেক লিঙ্ক দেওয়া শুরু করে টুইটার। এর মানে হলো প্রেসিডেন্ট যে টুইট করেছেন, তা কতটুকু সত্য সেটি যাচাই করার জন্য বার্তার নিচে ‘আসল খবর যাচাই করে দেখুন’ এমন ফ্যাক্ট চেকিং ট্যাগ ব্যবহার করেছে টুইটার। আর এতে ব্যাপক চটেছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন।

নির্বাহী যে আদেশে সই করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, তার বিষয়ে বিস্তারিত এখনো কিছু বলা হয়নি। কংগ্রেসে পাস না করে নতুন আইন অনুমোদন দিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন ট্রাম্প, তা–ও এখনো পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে কোনো তথ্যই দিচ্ছেন না হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা।

গতকাল বুধবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে টুইটার এখন হস্তক্ষেপ করছে। তারা বলতে চাইছে, “মেইল ইন ব্যালটস”, যা ব্যাপক দুর্নীতি ও জালিয়াতির সঙ্গে সম্পর্কিত সেটি নিয়ে আমার বিবৃতি অসত্য। ফেক নিউজ নেটওয়ার্ক সিএনএন ও আমাজন ওয়াশিংটনের মতো গণমাধ্যমের বিবৃতি ট্যাগ করে আমার বিবৃতির ফ্যাক্ট চেকিং করছে।’

এরপর ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ, এমনকি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আরেক টুইটে বলেন, ‘রিপাবলিকানরা মনে করে, সোশ্যাল মিডিয়া রক্ষণশীলদের কণ্ঠ একেবারে স্তব্ধ করে দেয়। যেকোনো কিছু ঘটার আগেই আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করব বা বন্ধ করে দেব। আমরা জানি, ২০১৬ সালে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবে সফল হয়নি। আমরা আর সুযোগ দেব না।’

তবে এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টুইটার, গুগল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।