ন্যাসড্যাক শেয়ারবাজারে যাচ্ছে আম্বানির জিও

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারবাজার ন্যাসড্যাকে প্রাথমিক শেয়ার (আইপিও) ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এশিয়া ও ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির মোবাইল ইন্টারনেট কোম্পানি জিও। ন্যাসড্যাকে জিওর তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে লিড ব্যাংক হিসেবে নিয়োগ পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক বিনিয়োগ ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মরগ্যান স্ট্যানলি। তবে এই কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্রেরই ব্যাংক অব আমেরিকা ও সিটিব্যাংকের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোও আগ্রহী।

ন্যাসড্যাকে (ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সিকিউরিটি ডিলারস্ অটোমেটেড কোটেশনস) তালিকাভুক্তির জন্য জিওর আর্থিক মূল্য ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ৪ লাখ ৯১ হাজার কোটি ভারতীয় রুপি। আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে এই তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।

মুকেশ আম্বানির মূল কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এক মাসে সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিও মোবাইলের ১৭ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ১ হাজার ৩০ কোটি ডলারের পুঁজি সংগ্রহ করেছে, যা ভারতের প্রায় ৭৮ হাজার ৫৬২ কোটি রুপি।

যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি ফেসবুকের সঙ্গে গত ২২ এপ্রিল ৫৭০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রির চুক্তি করে রিলায়েন্স জিও। এর পরে যুক্তরাষ্ট্রের আরও চার বেসরকারি পুঁজি বিনিয়োগকারী ও সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানের কাছে জিওর শেয়ার বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে সিলভার লেক পার্টনারস ৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারে জিওর ১ দশমিক ১৫ শতাংশ, ভিস্তা ইকুইটি পার্টনারস ১৫০ কোটি ডলারে ২ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং জেনারেল আটলান্টিক ৮৭ কোটি ডলারে ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং কেকেআর (কোহলবার্গ ক্রাভিস রবার্টস) ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারে ২ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়।

ভারতে বর্তমানে জিওর গ্রাহকসংখ্যা ৩৮ কোটি ৮০ লাখ। এ ছাড়া জিওর আরেক সেবা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন প্রায় ৪০ কোটি মানুষ।

এ ছাড়া দুই–এক মাসের মধ্যে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড এবং আবুধাবির মুবাদালা ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিও জিওর শেয়ার কিনতে পারে।

এদিকে মুকেশ আম্বানির ২৫ বছর বয়সী কণিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানি জিওর পরিচালনা পর্ষদে যোগ দিয়েছেন। তাঁর বড় ভাই ও বোন আকাশ আম্বানি এবং ইশা আম্বানি ২০১৪ সালে কোম্পানির পর্ষদে যোগ দেন।

সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ব্লুমবার্গ।