নেগেটিভ থেকে পজিটিভে মার্কিন তেলের দাম

গত এপ্রিলে ভয়াবহ দরপতনের পর মে মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দাম। মে মাসে গত মাসের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রুড অয়েলের দাম। মাসভিত্তিক বৃদ্ধির হিসেবে এটি রেকর্ড। এর আগে ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে এক মাসে ৪৪ দশমিক ৬২ শতাংশ দাম বেড়েছিল এই তেলের।

গত জানুয়ারির তুলনায় দাম এখনো ৪৬ শতাংশ কম। ওই সময় প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৬৫ দশমিক ৬৫ ডলার। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই সারা বিশ্বেই স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। ফলে হু হু করে কমতে থাকে তেলের দাম। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম কমে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শূন্য ডলারের নিচে নেমে আসে। এর অর্থ হলো, উৎপাদকেরা তেল কেনার জন্য উল্টো ক্রেতাদের অর্থ দিয়েছেন। তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তেল সংরক্ষণাগারগুলো আর অতিরিক্ত তেলের চাপ নিতে পারছিল না। উৎপাদকেরা আশঙ্কা করছিলেন, মে মাসে সংরক্ষণাগার একেবারে উপচে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে এই তেল নিজেদের কাছ থেকে সরাতে চাইছিলেন তাঁরা।

তবে এক মাসে তেলের দাম ঘুরে দাঁড়ালেও এখনই ভবিষ্যত নিয়ে পুরোপুরি আশাবাদী নন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করছেন দাম আবারও কমতে পারে।

কেপিএমজির বৈম্বিক এনার্জি বিভাগের প্রধান রেজিনা মেয়র বলেন, পরিসংখ্যান দেখে অবশ্যই মনে করার কারণ নেই যে এটা তেলের সেরা মাস ছিল।এপ্রিলে যে অবস্থায় ছিলাম তার থেকে অবশ্যই ভালো তবে এখনো আগের উৎপাদনে

যাওয়ার মতো অবস্থায় আসিনি।